২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তিন সপ্তাহ আগে বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) বলছে, হাশেম সাফিএদ্দিন লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের একটি শহরতলিতে বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইরত লেবাননের শিয়া মুসলিমদের শক্তিশালী সংগঠন হিজবুল্লাহ এখনো খবরটি নিশ্চিত করেনি। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব ২০১৭ সালে সাফিএদ্দিনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ৬০ বছর হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ছিলেন হাসান নাসরাল্লাহর নিকটাত্মীয় (কাজিন) এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে ইরানে শিক্ষালাভ করেছেন। তার ছেলে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন। কাশেম সোলাইমানি ছিলেন ইরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার। ইরানে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় তিনি নিহত হয়েছিলেন। হিজবুল্লাহর আগের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। পরে গত ৪ অক্টোবর বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলার পর হিজবুল্লাহ কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা সাফিএদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। তখন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলেছিল, সাফিএদ্দিন ছিলেন সেদিনের বোমা হামলার টার্গেট। সেই রাতে ব্যাপক বিস্ফোরণে বৈরুত নগরী কেঁপে ওঠে। সকাল পর্যন্ত ধোঁয়ার কুণ্ডুলি দেখা যায় সেখানে। মঙ্গলবার আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, সাফিএদ্দিনের সঙ্গে একই ঘটনায় নিহত হন আলী হুসেইন হাজিমা, যাকে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরের কমান্ডার হিসেবে বর্ণনা করেছে ইসরায়েল। তারা সাফিএদ্দিনকে ‘হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পাশাপাশি’ বছরের পর বছর ধরে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা’ পরিচালনার জন্য দায়ী করেছে। হিজবুল্লাহকে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সূত্র : বিবিসি

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়