প্রতিদিনের ডেস্ক॥
চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না এভাবেও গোল করা যায়। গতকাল রাতে তেমনি এক অবিশ্বাস্য গোল করেছেন আর্লিং হালান্ড। তার গোল দেখে অবাক হয়ে মাথায় হাত দেন বার্নার্দো সিলভা-জন স্টোনসরা। আর নিজে গোল করার পর মুখের অভিব্যক্তিতে হালান্ড যেন বুঝিয়ে দিলেন আসলেই কী এভাবে গোল করেছি আমি। ৫৮ মিনিটে তার করা গোলটি ফুটবলের ব্যাকরণ সিদ্ধ নয়। অ্যাক্রোবেটিক এক ব্যাকহিলে স্পার্তা প্রাগার জালে বল জড়িয়েছেন তিনি। ম্যানসিটি স্ট্রাইকার যেভাবে গোলটি করেছেন তার চেয়ে যেন বাইসাইকেল গোল আরও সহজ ছিল।
তেমনি অবিশ্বাস্য এক গোল করেছেন হালান্ড। সাভিনিও যখন ক্রস করলেন তখন বল ২৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের বুক সমান উঁচুতে। সামনে প্রতিপক্ষের কয়েক জন ফুটবলার। এমন কঠিন প্রতিবন্ধকতার মাঝে শূন্যে লাফ দিয়ে বাঁ পায়ে ব্যাকহিল করলেন তিনি। এমন অসাধ্য ভলি ঠেকানোর সুযোগই পাননি প্রাগার গোলরক্ষক পিটার ভিনদালের। তার এই গোলটি জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে মনে করিয়ে দেয়। ২০১৮ সালে টরন্টোর বিপক্ষে এমনই এক গোল করেছিলেন লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির হয়ে। হালান্ডের এই গোল বণর্না করতে পারছেন না কোচ পেপ গার্দিওলা। মানুষের পক্ষে সম্ভব না বলে সিটি কোচ বলেছেন, ‘জানি না সে কীভাবে গোলটি করল। একজন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। অবিশ্বাস্য এক গোল করেছে।
হালান্ডের গোল দেখে বাকরুদ্ধ হয়েছে তার সতীর্থ নুনেস। সিটি ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য এক গোল। তার শটের পর আমি বাকরুদ্ধ হয়েছিলাম।’ স্পার্তা প্রাগার বিপক্ষে ম্যানসিটির ৫-০ ব্যবধানের জয়ে পরে আরেকটি গোল করেছেন হালান্ড। দ্বিতীয় গোলটি করেছেন দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে। এই দুই গোলে ছাড়িয়ে গেছেন নেইমারকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় চেলসি ও আইভরি কোস্টের কিংবদিন্ত দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে যৌথভাবে ১৬ নম্বরে হালান্ড। দুজনের গোল এখন ৪৪টি। অন্যদিকে নেইমারের গোল ৪৩টি। শীর্ষ দুইয়ে আছেন ১০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করা দুই কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। রোনালদোর ১৪০ গোলের বিপরীতে ১২৯টি মেসির।