সুন্দর সাহা
যশোরের বহুলালোচিত ১৫ কেজি ৭শ’২৮ গ্রাম সোনা চোরাচালানের মামলায় বেনাপোলের গোল্ড নাসিরসহ ৯ চোরাকারবারিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ঢাকা সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ দুই মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ফাইন্যান্সিয়া ক্রাইম (অর্গানাইজড ক্রাইম) সিআইডি ঢাকার পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোরের বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন, সাহেব আলীর ছেলে রমজান আলী, মৃত বুদো সরদারের ছেলে নাসির উদ্দিন, দূর্গাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, চাঁদপুর মতলব উত্তর থানার দেওয়ান বাড়ি গ্রামের আতিউল্লাহ বেপারি ওরফে অলি বেপারির ছেলে রবিউল আলম রাব্বি, উক্তর খাগুরিয়া গ্রামের মিয়াজি বাড়ির আব্দুর রশিদ মিয়াজির ছেলে আরিফ মিয়াজি, মাদারীপুর সদরের বলসা মধ্যপাড়ার আবুল কালাম মাতুব্বরের ছেলে আবু হায়েত জনি, কুমিল্লা দাউদকান্দির নৈয়াইর গ্রামের সিরাজ বেপারি ওরফে মিরাজ বেপারির ছেলে শাহাজালাল ও নলচক গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩১ মে গভীর রাতে যশোর ৪৯ বিজিবির সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ৩টি প্রাইভেটকারযোগে সোনার চালান বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরদিন বিজিবির একটি টিম যশোর-মাগুরা সড়কের বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে তিনটি প্রাইভেটকার আসতের দেখে বিজিবি সদস্যরা গতিরোধ করে। এরপর তিন প্রাইভেটকার চালকসহ ৬ জনকে আটক ও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে প্রাইভেট কারের সম্মুখভাগে অভিনব কায়দায় প্রস্তুতকৃত বিশেষ বক্সে রাখা মোট ১৩৫ পিস সোনার বার (ওজন ১৫ কেজি ৭শ’২৮ গ্রাম) উদ্ধার করা হয়। দাম দাম ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার ৮শ’ টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির হাবিলদার মাহবুব আলম বাদী হয়ে আটক ৬ জনসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে চোরাচালান দমন আইনে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।