২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

নতুন করে আরেকটা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছি: ফারুক

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় ছিলো বিএনপি, ছাত্ররা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা। যার মাস্টারমাইন্ড ছিলো বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এখন আবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ঘোলাটে করার জন্য একটা প্রগতিশীল চক্র চেষ্টা করে যাচ্ছে। তার ইঙ্গিত বহন করে বঙ্গ ভবনে সামনে মিছিল। নতুন করে আরেকটা রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করা চক্রান্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১২ দলীয় জোটসহ সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
রবিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ এলডিপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন করেছে। চৌধুরী আলম-ইলিয়াস আলীসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গুম, খুন করেছে, আয়নাঘর তৈরি করেছে। হারুন- বিপ্লবদের মতো লোক তৈরি করে বহু মায়ের বুক খালি করেছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছে শেখ হাসিনা। ষড়যন্ত্র করে সংবিধান পরিবর্তন যদি না হতো তাহলে সংদলীয় রাজনীতির মাধ্যমে এই দেশ পরিচালিত হতো। কিন্তু সেই সংসদীয় রাজনীতিকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আড়াই মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, এখনো তারেক রহমানের রাজনৈতিক মামলা প্রতাহ্যার হলো না। মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে আছেন এখনো শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়নি। কোন মন্ত্রণালয় কত হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তাও প্রকাশ করা হচ্ছে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে আজ আমরা মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এই ৫ আগস্টের প্রেক্ষপট অনেকেই নিজের করে নিতে চাচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান একদিনে তৈরি হয়নি। ১৫-১৬ বছর আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। জেল-জুলুম, গুম-খুনের শিকার হয়েছি। সর্বশেষ মানুষ রাজপথে নেমে পৃথিবীর সেরা একজন স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।
বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বিএনপির নেতৃত্বে যখন যুগপৎ আন্দোলন ঘোষণা করা হয় তখন ১২ দলীয় জোট প্রতিটা মুহূর্তে রাজপথে ছিলাম। ৭ জানুয়ারির পর মানুষ হতাশায় থাকলেও আমার আন্দোলন জোরালো করতে সারাদেশ কর্মসূচি পালন করেছি। ভারতের কারণে শেখ হাসিনা টিকে ছিলো। এজন্য আমরা ভারত বিরোধী কর্মসূচি দিয়েছি। ভারতীয় পণ্য বর্জণের জন্য সারা দেশ গিয়েছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে শেখ হাসিনা। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।
সৈয়দ ইব্রাহিম রওনকের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিপল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ প্রমুখ।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়