প্রতিদিনের ডেস্ক:
জাপানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)। গত এক দশকের মধ্যে এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে এই ক্ষমতাসীন জোট। প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং তাদের জোটের সহযোগী দল কোমেইতো পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে ২১৫টি আসন পেয়েছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে ২৩৩টি আসন প্রয়োজন। খবর বিবিসির।গত মাসে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ইশিবা। সাত দশক ধরে তার দল জাপানের শাসনক্ষমতায় রয়েছে। তবে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার পর ৬৭ বছর বয়সী সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ১ অক্টোবর জাপানের প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর নতুন জাপানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় এখন তার রাজনীতির ভবিষ্যতও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।নির্বাচনের আগের জনমত জরিপে দেখা গেছে, এলডিপি ও তাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার কোমেইতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারে। গত কয়েক বছর ধরেই জাপানে একদিকে যেমন জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে তেমনি প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে উত্তেজনাও বেড়েছে।এক বিবৃতিতে ইশিবা বলেন, নির্বাচনের ফলাফল তারা বিনয়ের সঙ্গেই গ্রহণ করবেন। জাতীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ভোটাররা আমাদের কঠোর রায় দিয়েছেন এবং বিনয়ের সঙ্গেই আমাদের তা গ্রহণ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, জাপানের জনগণ এলডিপির প্রতি তাদের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে যাতে তারা এসবের প্রতিফলন ঘটাতে পারে এবং এমন একটি দল হয়ে উঠেছে যা জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে আসছে।নির্বাচনের আগে জাপানি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে যে, এলডিপি যদি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তবে ইশিবাকে দায়িত্ব ছাড়তে হতে পারে। ফলে যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাপানের সবচেয়ে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি।২০০৯ সালের পর প্রথম বারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালো এলডিপি। ১৯৫৫ সালে দলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারাই সবচেয়ে বেশি সময় দেশ শাসন করেছে। এদিকে নির্বাচনে বিরোধী দল কন্সটিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (সিডিপি) ১৪৮ আসনে জয় পেয়েছে।