প্রতিদিনের ডেস্ক॥
আমরা সবাই চাই আমাদের দেখতে সুন্দর লাগুক। মেয়েরা এক্ষেত্রে অনেক ধাপ এগিয়ে। নিজের ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য তারা নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে। কিন্তু অনেক নকল পণ্যে বাজার সয়লাব। এতসব পণ্যের ভিড়ে আসল পণ্যটি চিনে কেনা মুশকিল। এ ধরনের প্রসাধনী যে কেবল আর্থিক ক্ষতিরই কারণ তা তো নয়, বরং ত্বকের ক্ষতি করে সবচেয়ে বেশি। তাই নকল প্রসাধনী চিনতে পারা জরুরি। আপনিও নকল প্রসাধনী কিনে ঠকে যাচ্ছেন না তো? চলুন জেনে নেওয়া যাক চেনার উপায়-
মূল্য খেয়াল করুন
বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত ব্যয়বহুল হয়। সাধারণত আন্তর্জাতিক বিউটি ব্র্যান্ডগুলোর দেশীয় পণ্যের চেয়ে বেশি মূল্য থাকে। তাই আপনি যদি এই জাতীয় ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কেনার সময় মূল্য তুলনামূলক অনেক কম দেখতে পাবেন তাহলে নিশ্চিন্ত মনে কিনে ফেলবেন না। বরং বুঝে নিতে হবে এটি একটি নকল পণ্য। দাম বেশি হলেই যে তা সব সময় আসল হবে এমনও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে দাম অনেক কম হলে তখন তা নকল বলে ধরে নিতে হবে। কারণ আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রসাধনী এত কম দামে বিক্রয় করা সম্ভব নয়।
উপাদান চার্ট দেখে নিন
একটি অরিজিনাল প্রোডাক্টে সমস্ত আসল উপাদান থাকবে যা দেখে নেওয়া জরুরি। উপাদানগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে প্রতিটি ব্র্যান্ডের নিজস্ব ইউএসপি সেট রয়েছে এবং সেগুলো দেখে গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কিনে থাকেন। নকল পণ্যের মধ্যে কেবলমাত্র সেসব সাধারণ উপাদান থাকবে যা তালিকা বা অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার করা হবে। অতএব, সবসময় উপাদান তালিকা মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং তারপর কেনার কথা ভাবুন।
সার্টিফিকেশন এবং সিল
ত্বক বা চুলের জন্য প্রায় প্রতিটি সৌন্দর্য পণ্যে একটি শংসাপত্র বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সমিতির মতো সংস্থার অনুমোদনের সিল থাকে। পণ্যটি ব্যবহার করার আগে একজনকে অবশ্যই প্যাকেজিংয়ের সার্টিফিকেশন এবং সিলগুলো পরীক্ষা করতে হবে। আপনি তাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন এবং সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেন। কিন্তু, যদি এই সিলগুলো অনুপস্থিত থাকে তবে এটি একটি চিহ্ন হতে পারে যে আপনার পণ্যটি নকল।
রিভিউ দেখে নিন
যেকোনো ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকে যেকোনো পণ্য কেনার আগে সব সময় পণ্যটির রিভিউ দেখে নিন। যাচাইকৃত ক্রেতাদের কাছ থেকে রিভিউগুলো দেখুন। প্যাকেজিং, গুণমান, টেক্সচার, মূল্য, সত্যতা ইত্যাদি সম্পর্কিত যেকোনো মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। যদি সেখানে প্রচুর নেতিবাচক রিভিউ দেখতে পান তবে সেই পণ্য না কেনাই ভালো। কারণ সেটি নকল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।