প্রতিদিনের ডেস্ক॥
আগামী বছর বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি (৫.৭৪ ট্রিলিয়ন) ডলারে পৌঁছতে পারে।আগামী বছর বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতে ব্যয় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৫ লাখ ৭৪ হাজার কোটি (৫.৭৪ ট্রিলিয়ন) ডলারে পৌঁছতে পারে। শিল্পভিত্তিক প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত গবেষণা ও পরামর্শ প্রতিষ্ঠান গার্টনার গত মাসের শেষের দিকে এ তথ্য জানায়। গার্টনারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জেনারেটিভ এআই (জেনএআই) প্রযুক্তিতে বাড়তি খরচের কারণে সামনের বছর সার্ভার বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। জেনএআইকে আগামী বছর প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে গার্টনার।
কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশ্লেষক জন ডেভিড লাভলক বলছেন, বর্তমান জেনএআইয়ের বিনিয়োগে মুখ্য ভূমিকা রাখে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো, যারা জেনএআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি করছে। তিনি পূর্বাভাস দেন যে ২০২৫ সাল থেকে কোম্পানির চিফ ইনফরমেশন অফিসাররা (সিআইও) জেনএআইতে বিনিয়োগ শুরু করবে। তবে এক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়লেও জেনএআইয়ের সক্ষমতার প্রতি সিআইওদের প্রত্যাশা কমতে পারে। কারণ বর্তমানে এআই মডেল ও ডাটার গুণমান মানুষের উচ্চ প্রত্যাশাকে পূরণ করতে নাও পারে।
গার্টনারের বিশ্লেষকরা সম্প্রতি ‘গার্টনার আইটি সিম্পোজিয়াম/এক্সপো’ ইভেন্টে প্রযুক্তিবাজারকে প্রভাবিত করা ট্রেন্ডগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত ডাটা সেন্টার সিস্টেমে ব্যয় প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। যদিও এটি ২০২৫ সালে এ খাতে ব্যয় প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা। এ প্রবৃদ্ধির প্রধান চালক হলো সার্ভার বিক্রি, যা ২০২৩ সালের ১৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ৩৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। সংখ্যাটি ২০২৫ সালের প্রত্যাশিত ২৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার থেকেও বেশি।
এ বিষয়ে বিশ্লেষক লাভলক বলেছেন, ‘ডাটা সেন্টার সিস্টেমে অতীতের ক্লাউড পরিষেবা ও আউটসোর্সিংয়ের প্রভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে যাবে জেনারেটিভ এআই। সার্ভার ব্যয়ে ক্লাউড ও আউটসোর্সিং কোম্পানিগুলোর বছরে ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে প্রায় ২০ বছর লেগেছে। বিপরীতে জেনএআইয়ের চাহিদা ২০২৩ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে সার্ভার বিক্রিকে প্রায় তিন গুণ বাড়িয়ে দেবে।’
এদিকে ২০২৫ সালে সফটওয়্যারের ওপর বিনিয়োগ ১৪ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি ডলারে (১.২৩ ট্রিলিয়ন) পৌঁছানোর প্রত্যাশা করছে গার্টনার। একই সময়ে আইটি সার্ভিসে ব্যয় ২০২৫ সালে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি (১.৭৩ ট্রিলিয়ন) ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
লাভলক বলেছেন, ‘সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসগুলো প্রযুক্তি খাতে প্রবৃদ্ধির প্রধান উৎস। এ দুই ক্ষেত্রে এআই-নির্ভর প্রকল্পগুলোয় বেশি বিনিয়োগের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেমন ই-মেইল ও কনটেন্ট তৈরির টুল। সফটওয়্যার ও আইটি সার্ভিসের বাজার বেশ পুরনো এবং এখানে কয়েকটি বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছে, তবুও ২০২৪ সালে জেনএআই-নির্ভর পণ্য এবং পরিষেবার কারণে এ বাজার বৈশ্বিক বিনিয়োগে ৬৬০ কোটি ডলার ও ২০২৫ সালে ৭৪০ কোটি ডলার যুক্ত করার প্রত্যাশা রয়েছে।’