জি এম ফারুক আলম, মণিরামপুর
মণিরামপুরের গাঙ্গুলিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদ ও সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) মাওলানা ফরিদ উদ্দীনকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য পত্র দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি নিশাত তামান্না। ৮৯৬(৫) স্মারক নম্বর পত্রে মঙ্গলবার কারণ দর্শানোর এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তানজুয়ারা খাতুনকে দীর্ঘদিন যাবত নানাভাবে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। যার সত্যতা মিলেছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেনের তদন্ত প্রতিবেদনে। কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদ ও সহকারি শিক্ষক ফরিদ উদ্দীন ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্ত কর্মকর্তাকে অসহযোগিতা করেছেন। এমন আচরণে প্রশাসনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। ‘বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকের চাকুরি বিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না কেন’-পত্র প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায়, একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তানজুয়ারা খাতুন মঙ্গলবার ছুটির প্রার্থনা জানালে প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদ তা সরাসরি নাকোচ করেছেন। প্রধান শিক্ষক ওই শিক্ষিকাকে জানিয়ে দেন রাজনৈতিক চাপের কারণে আপনার ছুটি মঞ্জুর করা যাচ্ছে না। এদিকে, ফরিদ এবং প্রধান শিক্ষককে নিয়ে মঙ্গলবার দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রাজনৈতিক বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।