১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

নতুন নির্বাচন কমিশনের শপথ

বর্তমান সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কারকাজ শেষ করেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করবে তার সরকার। কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, এর পর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সব দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আরো কিছু কাজ শুরু করে দিতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে যে প্রতিশ্রুতি, পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্তের কথা তার ভাষণে তুলে ধরেন, তাতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যায়। এরপর গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়। সার্চ কমিটির দেওয়া তালিকা থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ এম এম নাসির উদ্দীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তাহমিদা আহমদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.) নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। গত শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ নতুন নির্বাচন কমিশনকে শপথ পাঠ করান। নতুন সিইসি আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি তার ওপর আরোপিত দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালনের চেষ্টা করে যাবেন। সিইসি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছেন, তিনি জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন। সর্বশক্তি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন।
তিনি তার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতায় জাতিকে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। জাতীয় পর্যায়ে ফায়সালা শেষে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আরো কয়েকটি দলের রাজনীতি করা-না করা নিয়ে এক ধরনের বিতর্ক চলছে। সিইসি আশা প্রকাশ করেছেন যে জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই বিতর্কের একটা ফায়সালা হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সিইসি বলেছেন, তিনি জাতীয় প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন। সর্বশক্তি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। তিনি তার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। সবাই মিলে রাজনৈতিক দলসহ সবার সহযোগিতায় জাতিকে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা জাতির সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করবেন। নতুন ইসি সবার কাছেই গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়