প্রতিদিনের ডেস্ক:
দেশের আটটি বিভাগের বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।সাতদিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এইচআরপিবির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তামিম খান।মনজিল মোরসেদ জানান, সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিট পিটিশনের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং আদালতে কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় এইচআরপিবি আদালতে একটি আবেদন করে।আবেদনে বলা হয়, অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইট উৎপাদন ও ভাটা পরিচালনার মৌসুম। এ সময়ের মধ্যে সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং করতে যাচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। অবৈধ ইটভাটাগুলো যাতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনটি দাখিল করা হয়।মনজিল মোরসেদ জানান, শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারদের নিজ নিজ এলাকার অবৈধ ইটভাটার মালিকরা যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ওই কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের পদক্ষেপ সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।