প্রতিদিনের ডেস্ক:
একবেলা পাতে দই থাকে অনেক ভোজনরসিকের। কোর্মা- বিরিয়ানিতেও ব্যবহার করেন কেউ।আবার কেউ খান দুধের বিকল্প হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি আরও ভালো করতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। তবে মিষ্টি দই নয়, রোজের পাতে প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ টকদই রাখতেই বলেন পুষ্টিবিদেরা। শরীরে শক্তি বাড়াতে যেমন কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট দরকার, তেমনই খেয়াল রাখতে হবে, যেন খাবারের মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ সমপরিমাণে থাকে। সেজন্যই দই খেতে বলা। কিন্তু কথা হলো, দোকান থেকে কেনা প্যাকেটের দই ভালো না কি ঘরে পাতা দই? কোনোটি খেলে বেশি উপকার পাবেন?সময়ের অভাবে বেশির ভাগই কেনা প্যাকেটের দই-ই খান। তবে পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন যে ঘরে পাতা দই-ই বেশি ভালো। কারণ বাড়িতে খাঁটি উপাদান দিয়েই তা তৈরি হচ্ছে। সেই দই দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করতে কোনো রকম রাসায়নিক মেশানোও হচ্ছে না। কাজেই সেই দই খেলে শরীরের উপকার হবে বেশি।প্যাকেটের দই খেতে হলে তার উপকরণগুলো দেখে কিনতে হবে বলেই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ। এখন বাজারে বিভিন্ন গ্রিক ইয়োগার্ট পাওয়া যায়, যাতে ফ্যাটের মাত্রা কম, প্রোটিন ও ভিটামিনের মাত্রা বেশি। তেমন দেখে কিনতে হবে। তবে অনেক কোম্পানি প্যাকেটের দইতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম চিনি মেশানো হয়। দীর্ঘদিন দই টাটকা রাখতে রাসায়নিকও যোগ করা হয়। তাই সব সময় উপকরণ দেখেই কিনতে হবে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার তারিখটিও দেখে নেবেন।প্যাকেট না খুললে কেনা দই ১০-২৫ দিন অবধি থাকে, কিন্তু ঘরে পাতা দই স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৫ দিনের বেশি থাকে না। তাই সময় দেখেই খাবেন। বাড়িতে পাতা টক দই ছোট এক বাটি খাওয়া যেতে পারে রোজ। অর্থাৎ ১শ থেকে ২শ গ্রাম। কিন্তু কৃত্রিম স্বাদ-গন্ধযুক্ত দই খেলে কোনো উপকার হয় না। তাই টক দই ঘরে পেতে নেওয়াই বেশি ভালো।