প্রতিদিনের ডেস্ক:
বিবেকের যবনিকাপাত
আমি হারিয়ে যাচ্ছি নিশীথ নির্জনতায়
ঘনিয়ে আসছে দেয়াল পঞ্জিকার লাল তারিখটা।
নৈঃশব্দের পথ বেয়ে পিপাসিত বুকটা
ক্রমেই শুকিয়ে খাঁ খাঁ করছে।
ঘড়ির কাঁটা টিকটিক করে
এগিয়ে চলেছে মৃত আলোকে।
প্রদীপের তেলটুকু ফুরিয়ে এসেছে
ধ্বংসের বাগানে
মুক্ত চেতনার পোড়া ফসলের ছাইয়ে
ঢেকে গেছে বিশ্বময়
শহরের প্রান্ত ছুঁয়ে নেমে এসেছে সন্ধ্যা
সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে
মনুষ্যত্বের রক্তাক্ত দেহ লাশ কাটা টেবিলে।
দাম্ভিকতার সাথে দাঁড়িয়ে আছে বিবেক
কোনো ভাষা নেই, কোনো কৌতূহলী চাহনি নেই
স্থির, নির্বাক।
কালো কাপড়ে ঢেকে দিয়েছে মুখাবয়ব
সময়ের ঘণ্টা বেজে উঠেছে
কেঁপে উঠেছে ফাঁসির মঞ্চ।
****
প্রণয়
হঠাৎ যদি আর না হয় কথা
চক্ষুজলে করবো আমি স্নান,
শিউলি তলে শয়ন পাতি মেলে
পূজার ছলে করবো তোমায় ধ্যান।
গাছের শাখে ডাকবে যখন পাখি
বিভাবসু নামবে অস্তাচল,
গভীর কালো রাতটা গাঢ় হলে
নিশীত জেগে ফেলব আঁখিজল।
বসন্তের ওই কোকিল ডাকা সুরে
লিলুয়া বাতাস উড়াই যদি মন,
লোকচক্ষুর আড়ালেতে এসে
করব তোমায় বক্ষে আলিঙ্গন।
ঢাকলে আকাশ বিষাদ কালো মেঘে
ঝিনুক হয়ে রাখব গভীর বুকে,
ডাকলে শাখে পরিযায়ী পাখি
কাঁদব না আর তারই বিজন দুঃখে।
ফুল-পাখিরা করবে আনাগোনা
নতুন করে বাঁধব মনের ঘর,
শায়ক ছুড়ে যতই বুকে বাঁধুক
বুকটা পেতে বাড়িয়ে দেবো কর।
হঠাৎ যদি হারিয়ে আমি যাই
খুঁজবে আমায় তারার এলোকেশে,
জ্যোৎস্না জ্যোতি ছড়িয়ে চারিদিক
থাকবো আমি চাঁদের হাসি হেসে।