১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

ঘি খেয়েই আকর্ষণীয় তারা

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
প্রাচীনকাল থেকেই রান্নাসহ রুপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঘি। দেশি ঘিয়ের গন্ধ সবাইকে মুগ্ধ করে। গরম ভাতের সঙ্গে এক চা চামচ ঘি মেশালেই ক্ষুধা আরও যেন বেড়ে যায়! ঠিক তেমনই ঘি দিয়ে তৈরি সব ধরনের পদই খেতে হয় সুস্বাদু।
তবে অনেকেই মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খান না। তবে জানলে অবাক হবেন, ঘি ওজন বাড়ায় না বরং কমাতে সাহায্য করে। এর কারণ হলো ঘি’তে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর ফ্যাট কমাতে সক্ষম।
জানলে আরও অবাক হবেন, বলিউডের বেশিরভাগ তারকারাই ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ঘি খান। তাদের দলে আছেন কারিনা, ভূমি, অদিতি রাও’সহ আরও অনেকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন বলি তারকারা দৈনিক ঘি খান ও এটি কেন উপকারী স্বাস্থ্যের জন্য-
শিল্পা শেঠি
চিট ডে মিলে অবশ্যই শিল্পা ঘিয়ের তৈরি বিভিন্ন পদ খান। আসলে এই দুগ্ধজাত স্বাস্থ্যকর চর্বি শক্তির এক বিশাল উৎস। অন্যান্য ফ্যাটের তুলনায় ঘি’তে কম ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। সকালে খালি পেটে সামান্য ঘি মিশিয়ে এক কাপ কালো কফি পান করতে পারেন। যা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে ও স্ট্যামিনাও বাড়াবে।
কারিনা কাপুর
গর্ভাবস্থায় কারিনার ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তবে সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে তা আবারও কমিয়ে ফেলতেও সক্ষম হয়েছেন তিনি। জানলে অবাক হবেন, ওজন কমাতে ঘি নাকি দুর্দান্ত কাজ করেছে কারিনার ক্ষেত্রে। দেশি ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে নিয়মিত খান বেবো। ঘি’তে থাকে ভিটামিন এ, ই, কে২ ও ডি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ভূমি পেডনেকার
বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে ভূমি পেডনেকার অন্যতম। এক সময় অতিরিক্ত ওজনে ভুগলেও এখন তাকে দেখলে আর চেনার উপায় নেই। তা ট্রান্সফরমেশন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। ভূমি পেডনেকার সকাল শুরু করেন এক কাপ ঘি কফি দিয়ে।
এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। সারারাত না খেয়ে থাকা অর্থাৎ ফাস্টিংয়ের পর ঘি খেলে খাদ্য শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘি পাকস্থলীতে অ্যাসিড নিঃসরণে সাহায্য করে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কেও তৃপ্তির অনুভূতি জোগায়।
অদিতি রাও হায়দারি
বলিউডের আরেক অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারিও কিন্তু রোজ পাতে রাখেন ঘি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানান, ঘি তিনি কোনোভাবেই ছাড়তে পারবেন না। দৈনিক সীমিত পরিসরে ঘি খেলে লিভার পরিষ্কার হয়, ঘি’তে থাকে ডিটক্সিফাইংয়ের অ্যাজেন্ট। যখন ঘি দিয়ে কোনো খাবার রান্না করা হয় তখন সেটি হজমের জন্য লিভার থেকে নিঃসৃত এনজাইমের প্রয়োজন হয় না। আর এ কারণে লিভারেও চাপ পড়ে না।
ঘি খেয়েই আকর্ষণীয় তারা
রাকুলপ্রীত কর
এই অভিনেত্রী তার ডায়েটের বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকেন। মেদহীদন শরীর পেতে রাকুলপ্রীতও দৈনিক পাতে রাখেন ঘি। টান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট অর্থাৎ খারাপ চর্বির তুলনায় দেশি ঘি’তে থাকে ওমেগা ৩ ও ৬। যা শরীরে জমে থাকা খারাপ চর্বি কমায়। তবে বেশি নয়, নির্দিষ্ট পরিমাণেই খেতে হবে ঘি।
ঘি খেলে শরীরে কী ঘটে?
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঘি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করে। এতে থাকা ভিটামিন এ, কে, ই ও ডি শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটায়। এছাড়া ঘিয়ে থাকা অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যকটেরিয়া ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ভাইরাস, ফ্লু, সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ঘি’তে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় ঘি। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলেও দৈনিক পাতে ২-৩ চামচ ঘি রাখুন।
হাড়ের শক্তি বাড়ায়
ভিটামিন কে এর দারুন উৎস হলো ঘি। যা ক্যালশিয়াম শোষণ করে। এছাড়া ঘি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরের বিভিন্ন সুরক্ষা প্রদান করে এমনকি জয়েন্টের ব্যথাও সারায়।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়
ঘিতে উপস্থিত ভিটামিন এ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। প্রতিদিন ঘি খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মানসিক চাপ কমাতে ও দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটাতে চোখে হালকা গরম ঘি সামান্য পরিমাণেও ব্যবহার করতে পারেন।
মস্তিষ্ক ভালো রাখে ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
ঘি’তে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় ও স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়। ব্রেন টনিক হিসেবে কাজ করে ঘি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়