১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ 

মায়াবি ডাইনি, কোনো কিছুতেই থাকে না

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
একজন রসালো প্রাচীন শৈলীর ‘দুষ্ট ডাইনি’র মতো রোমাঞ্চকর কিছু আর নেই। আর সেই ‘রসালো প্রাচীন শৈলীর দুষ্ট ডাইনি’ বলতে এমন এক ব্যক্তিকে বোঝায়- যিনি কেবল নীচতামূলক কাজকর্ম করে আনন্দ উপভোগ করেন। উদাহরণস্বরূপ- হ্যারি পটার সিরিজের মনস্তাত্ত্বিক বেলাট্রিক্স লেস্ট্রেঞ্জের কথা বলা যায়। যার লর্ড ভলডেমর্টের প্রতি নিষ্ঠা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। অথবা শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ-এর তিন ডাইনি, যারা ফুটন্ত কড়াইয়ের চারপাশে বসে তাদের পরবর্তী দুষ্ট কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে থাকেন। তাহলে আসুন, কথাসাহিত্যের সবচেয়ে কুখ্যাত কিছু ডাইনিদের পুনর্বিবেচনা করি– যারা অন্যায় কাজে নিন্দিত, অনুতাপহীনভাবে দুষ্ট এবং নির্লজ্জভাবে কূট। উইকেড-এর এলফাবা মূলত ভুল বোঝাবুঝির শিকার এবং কেবল নষ্টামি ছড়ানোর আগ্রহ তার একেবারেই নেই। তার ‘দুষ্ট’ উপাধি আসলে কিছুই নয়, একপ্রকার ভুল বোঝাবুঝি। মূলত তার সবুজ চেহারার কারণেই তাকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। এতে তাকে এমন কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যা বোঝার মতো তার চারপাশের মানুষ যথেষ্ট স্মার্ট বা সহানুভূতিশীল নয়। সে অধ্যবসায়ী, পরিশ্রমী। তবে ডরোথিকে বন্দি করে শুধু তার মৃত বোনের জুতা ফিরে পাওয়ার জন্যে। যদি নিখাদ দুষ্টুমির প্রশ্ন ওঠে, তাহলে এলফাবা একেবারেই পাশ নম্বর পাবেন না। তবে তিনি গানের তালে উড়ে যাওয়ার মাধ্যমে তার সমসাময়িকদের চমৎকারভাবে পরাস্ত করেন। যেখানে দুষ্টতার ঘাটতি আছে, সেখানে তার কণ্ঠস্বরের পরিসীমা তা পূরণ করে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়