২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কপিলমুনিতে বেপরোয়া গতিতে চলে নসিমন-করিমন, প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা

পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি
কপিলমুনিতে কোন ভাবেই যন্ত্রচালিত যান নসিমন করিমনের বেপরোয়া গতিকে রোখা যাচ্ছে না। ট্রাফিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কালো ধোয়া ছেড়ে প্রচন্ড গতিতে চলছে যত্রতত্র। কিশোর আর অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া গতিতে এই যান চালানোর ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বহু পথচারী। অকাল মৃত্যু সহ মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করছে। এ ঘটনা হরহামেশা ঘটলেও যেন দেখার কেউ নেই। বরং রাস্তায় চলাচলের সময় নসিমন করিমনের চালকদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদের শাসানি খেতে হয় পথচারী ও অন্য যানবাহনের চালকদের। কোন কোন ক্ষেত্রে চালকরা দল বেঁধে প্রতিবাদকারীকে লাঞ্চিত করে থাকে। এসব কারণে নসিমন করিমন চালকদের ভুল ড্রাইভের কোন পথচারী প্রতিবাদ করতে চায় না। এমনটা চলছে দীর্ঘদিন ধরে, নেই কোন প্রতিবাদ, নেই কোন প্রতিরোধ, পুলিশ রয়েছে নীরব, তাহলে কারা রুখবে এদের? নাকি অবলিলায় নসিমন করিমনের ভয়ানক ড্রাইভের কারণে পঙ্গুত্বসহ অকালে প্রাণ হারাবে শত শত মানুষ? এমন প্রশ্ন সকলের। জানা যায়, গত ৩ বছর কপিলমুনি এলাকায় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে নসিমন করিমনের কারণে। এসব দুর্ঘটনায় কেউ মৃত্যু বরণ না করলেও হাত পা ভেঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয়রা জানান, খুলনা-পাইকগাছা সড়ক ব্যবস্থার উন্নতী হওয়ার পর থেকে নসিমন করিমনের গতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। চালকরা পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে রাস্তায় তাদের যান চালাচ্ছে। বিকট শব্দ আর কালো ধোয়ায় চারিদিকে আছন্ন করে এরা এলাকার পথে ঘাটে ছুটছে। ট্রাক দানব গাড়ী হলেও কপিলমুনি অঞ্চলের মানুষ এখন নসিমন করিমনকে যমদূত বলছেন। নসিমনের কারণে যানজটও বেড়ে গেছে অনেকাংশে। একটি সূত্র বলছে, কপিলমুনিতে নসিমন-করিমনের চালকদের নিকট থেকে একটি নির্দিষ্ট হারে চাঁদা তোলা হয়। শুধু তাই নয়, থানা পুলিশ ও কপিলমুনি ফাঁড়ী পুলিশ মাসোহারা নিয়ে থাকে।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়