১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স বাড়াতে সিদ্ধান্ত বদলাল বিসিসিআই

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
মাঠে খেলছেন বিরাট কোহলি-কে এল রাহুল। আর গ্যালারিতে আনুশকা শর্মা, আথিয়া শেঠি। ভারতীয় ক্রিকেটে এমন একটা চিত্র গেল ৬ বছর ছিল একেবারেই নিয়মিত। ২০১৮ সালে খেলোয়াড়দের মানসিক স্থিতির জন্য পরিবারকে কাছে রাখার অনুরোধ করেছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সেটা তাদের পারফরম্যান্সে কিছুটা সুফলও দিয়েছিল। তবে এবারে খেলোয়াড়দের সেই সুবিধা কাটছাঁট করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সফর চলাকালে পুরোটা সময় পরিবারকে এখন থেকে নেয়ার সুযোগ থাকছে না ভারতের ক্রিকেটারদের জন্য। সেইসঙ্গে প্রাকটিস এবং ম্যাচ চলাকালে নিজ থেকে ভ্রমণের সুযোগেও আসছে কড়াকড়ি। নতুন নিয়মে ৪৫ দিন বা এর বেশি সময় ধরে চলা সফরে স্ত্রী ও সন্তানদের ১৪ দিন কাছে রাখতে পারবেন ভারতের ক্রিকেটাররা। তবে সফর শুরুর প্রথম দুই সপ্তাহ এই সুযোগ মিলবে না তাদের। আর এরচে কম সময়ের সফরে ১ সপ্তাহের জন্য পরিবারকে পাশে পাবেন ক্রিকেটাররা। যদিও ভারতীয় ক্রিকেটে এই নিয়ম আগেও চালু ছিল। কোভিড-১৯ চলাকালে এই ক্ষেত্রে কড়াকড়ি খানিক কমানো হয়েছিল। মুম্বাইয়ে গত শনিবার বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোচ গৌতম গম্ভীর, নির্বাচক অজিত আগারকার এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। সেখানেই রোহিতকে বোর্ডের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়। বর্তমান নিয়মে বিসিসিআই খেলোয়াড়দের পরিবারের আবাসন ব্যবস্থায় যুক্ত থাকে। তবে ভ্রমণের খরচ বহন করতে হয় খেলোয়াড়দেরই। সেই নিয়ম বহাল থাকছে। তবে এরসঙ্গে যুক্ত হচ্ছে টিম বাসে চলাচলের বাধ্যবাধকতা। কয়েক বছর ধরেই প্র্যাকটিসে আসার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা ছিলেন স্বাধীন। তবে সেটা আর হচ্ছে না। খেলার দুনিয়াতে পরিবার দূরে রাখার সিদ্ধান্ত এবারই প্রথম না। এর আগে ২০১৯ সালে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রেও পরিবার থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা ব্রাজিল ফুটবলে কাজেও এসেছিল। সেবার মহাদেশীয় শিরোপা কোপা আমেরিকা জয় করে তারা। তবে ২০১২ সালের অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারুরা এই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন। বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোচ গম্ভীরের মন্তব্য, ‘একেকজন খেলোয়াড়ের একেক রকমের মন্তব্য আছে। কেউ পুরো সফরে পরিবারকে পাশে চায়, কেউ অল্প সময় পরিবারকে দিয়ে বাকিটা সময় খেলায় মনোযোগ দিতে আগ্রহী। সিদ্ধান্ত যাইই হোক, ভারতের ক্রিকেটের জন্য যা সবচেয়ে ভালো, সেটাই গ্রহণ করা উচিত।’

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়