২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ির ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আলিমুদ্দিনসহ দুইজন গ্রেফতার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥
সাতক্ষীরার ভোমরার ব্যবসায়ি জিএম আমির হামজার ২৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আলিমুদ্দিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাশিমপুর গ্রাম ও সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভোমরা লক্ষ্মীদাড়ি থেকে পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় একজনওে কাছ থেকে ছিনতাইয়ের ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্বার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাহাজাহান আলী সরদারের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম রফিক (২৭) ও মৃত আনারউদ্দিন গাজীর ছেলে ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিন (৪২)। প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, তোমরা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী জিএম আমির হামজার দুইজন কর্মচারী গত ১৯ ডিসেম্বর বিকালে ইসলামী ব্যাংক ও পুবালী ব্যাংক, সাতক্ষীরা শাখা থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষ করে ২৩,৩৮,৫০০ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে সাতক্ষীরা হতে ভোমরা স্থলবন্দরে যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানাধীন আলিপুর ঢালিপাড়া গ্রামস্থ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বালির গাদার সামনে পৌছালে দুইটি মটরসাইকেলে থাকা দুষ্কৃতিকারীরা উক্ত কর্মচারীদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এসময় অপরাধচক্রের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাদের আমির হামজার কর্মচারীদের কাছে থাকা ২৩,৩৮,৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের সময় ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন দুষ্কৃতিকারী মেহেদী হাসান মুন্না (২৫) নামের একজনকে আটক কওে পুলিশে সোপার্দ করে। মুন্না সাতক্ষীরা সদও উপজেলার কুচপুকুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। পরবর্তীতে আসামি মেহেদী হাসান মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পুলিশ সুপার আরো জানান, পুলিশ বাকি আসামিদেও গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের একটি দল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের শাহজাহান আলী খোকনের বাড়ি হতে আসামি মো. রফিকুল ইসলাম রফিককে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে লুন্ঠিত অর্থের ৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা উদ্ধার ও জব্দ করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে সোমবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে ভোমরার লক্ষীদাড়ি এলাকা থেকে ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড আসামি আলিমুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামি আরাফাত গত রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনগত প্রসেস এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত টাকা উদ্ধারের জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়