২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপ স্টোরগুলোয় টিকটক ফিরে আসার অপেক্ষায় ব্যবহারকারীরা

প্রতিদিনের ডেস্ক॥
প্রায় এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি বাইটড্যান্স মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি বাইটড্যান্স মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক বন্ধ হয়ে যায়। এরপর দেশটিতে এর কার্যক্রম আবার শুরু হলেও যারা অ্যাপটি মুছে ফেলেছিলেন তারা এখনো অ্যাপল ও গুগলের অ্যাপ স্টোর থেকে পুনরায় ডাউনলোড করতে পারছেন না। খবর রয়টার্স।
মূলত আইনি জটিলতার কারণে অ্যাপটি এখনো অ্যাপল ও গুগল স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা মালিকানাধীন টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিনের জন্য পিছিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। তবে আদেশটি আইনত বৈধ কিনা তা স্পষ্ট নয়।
টিকটক চালু রাখতে কোম্পানি ও এর অংশীদারদের বড় অংকের জরিমানা দিতে হবে না বলে ট্রাম্প আশ্বাস দেয়ার পর মাধ্যমটি আবার কাজ শুরু করেছে। তবে অ্যাপ স্টোরগুলোর কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। লেমন৮ ও ক্যাপকাটসহ বাইটড্যান্স মালিকানাধীন অন্যান্য অ্যাপও যুক্তরাষ্ট্রে স্টোরগুলো থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে না।
এদিকে টিকটকের জন্য ক্রেতা খোঁজার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন যে টেসলার সিইও ইলোন মাস্ক টিকটক কিনে নেয়ার বিষয়ে যদি আগ্রহী হন তাহলে এক্ষেত্রে তার কোনো সমস্যা নেই। চীনবিষয়ক মার্কিন কমিটির প্রধান জন মুলেনার ব্যবসায়ী কেভিন ও’লিয়ারি ও ফ্রাঙ্ক ম্যাককোর্টের সঙ্গে টিকটক বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী ম্যাককোর্টের প্রজেক্ট লিবার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে টিকটক কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। এতে অ্যাপটির দাম (অ্যালগরিদম ব্যতীত) প্রায় ২ হাজার কোটি ডলার ধরা হয়েছে। প্রজেক্ট লিবার্টি জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে ও’লিয়ারি এ প্রচেষ্টায় যোগ দেন। সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ও’লিয়ারি বলেন, ‘আমি টিকটক কেনার ব্যাপারে আগ্রহী। তবে বর্তমান আইন অনুযায়ী তা সম্ভব নয়।’
কিছু টিকটক ব্যবহারকারী হতাশা প্রকাশ করে অ্যাপটি ব্যবহার বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন। কারণ প্রযুক্তি খাতের মিত্রদের কাছে এটি বিক্রির চুক্তিতে ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা তারা পছন্দ করছেন না। বাকিরা শুধু চান যেন পুনরায় অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপল ও গুগল অ্যাপটি সরবরাহের ঝামেলা এড়াতে আইনি সুরক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে বলেই এ বিলম্ব হতে পারে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়