প্রতিদিনের ডেস্ক
স্কোরবোর্ডে ১৮২ রান। সিডনি থান্ডার্স তৃপ্তি পেতেই পারতো বিগ ব্যাশের ফাইনালে নিজেদের স্কোরকার্ড দেখে। কিন্তু হোবার্টের ছিলেন একজন মাইকেল ওয়েন। ১০ বছর আগে যিনি ছিলেন দলের অন্ধভক্ত, তিনিই এবারে হলেন শিরোপার নায়ক। ৪২ বলে ১০৮ রানের ইনিংসে হোবার্টকে এনে দিয়েছেন বিগ ব্যাশের শিরোপা।
২০১৫ সালে ব্রিসবেন হিট এর বিপক্ষে হোবার্ট হারিকেন্সের জয়ে হঠাৎ করে গ্যালারিতে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন ১৩ বছরের ক্ষুদে বালক হিসেবে। আর ১০ বছর পর হলেন হোবার্টের ফাইনাল জয়ের নায়ক। হোবার্টের জয়ে বিশেষ ভূমিকা নিলেন ওপেনার ওয়েন। ৪২ বলে তার ১০৮ রানের ইনিংসই ট্রফি ছিনিয়ে আনল। ৬টি চার এবং ১১টি ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। ওয়েন ৩৯ বলে শতরান করেন। যা বিগ ব্যাশ লিগ ফাইনালের ইতিহাসে দ্রুততম। এমনকি বিগ ব্যাশের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতরানেরও নজির গড়লেন তাসমানিয়ার ২৩ বছরের ব্যাটার। ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করা সিডনি থান্ডারের ছুড়ে দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য মাত্র ১৪.১ ওভারেই টপকে গেলো হোবার্ট হারিকেন্স। যার মূলে ওয়েনের সেঞ্চুরি। ২০১১-১২ মৌসুমে আয়োজিত প্রথম বিগ ব্যাশে সেমিফাইনালে উঠেছিল হোবার্ট হারিকেন্স। ২০১৩-১৪ আসরে ফাইনালে পার্থ স্কর্চার্সের বিপক্ষে ৩৯ রানে হেরে গিয়েছিল তারা। আর ২০১৭-১৮ মৌসুমে আবারও ফাইনালে উঠার পর হতাশ হয়েছিল হোবার্ট হারিকেন্স। অ্যাডিলেড স্টাইকার্সের বিপক্ষে ২৫ রানে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত হোবার্টের আক্ষেপ মেটালেন ভক্ত থেকে খেলোয়াড় হয়ে ওঠা ওয়েন। ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়ে বললেন, ‘এটা অসাধারণ অনুভূতি। কথার বলার অবস্থায় নেই। সত্যিই ভাষা হারিয়ে ফেলছি। সমর্থকদের কাছে কৃতজ্ঞ। পুরো প্রতিযোগিতায় দারুণ সমর্থন পেয়েছি। প্রবল চিৎকার করেছেন আপনারা। আপনাদের দেখে আমারও পুরনো কথাই মনে পড়ছে।’

