৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খুবিতে বাণী অর্চনা উদযাপিত

খুবি সংবাদদাতা॥
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাণী অর্চনা (সরস্বতী পূজা) উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল ১০.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মন্দির প্রাঙ্গণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মই সৎ পথে চলতে এবং সত্য কথা বলতে শেখায়। বাণী অর্চনার মাধ্যমে জ্ঞানের সাধন করা হয়। জ্ঞানচর্চাই এখানে মুখ্য আরাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান অর্জনের জায়গা। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধরে রেখে প্রতিবছর বাণী অর্চনা পালন করা হয়। এই দৃষ্টান্ত দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ুক- এ প্রত্যাশা করি। তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপটে এবার বাণী অর্চনা আয়োজন অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশি হিসেবে সকল ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এমন আয়োজনে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতা গড়ে ওঠে। তিনি সুষ্ঠুভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন করায় উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপাচার্য বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের মাধ্যমে প্রকাশিত স্মরণিকা ‘পঞ্চমী’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের সর্ববৃহৎ স্থান। এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান যেন পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহমর্মিতা গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বাণী অর্চনা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক গৌরী শংকর রায় ও সিএসই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সোহাগ চন্দ্র। স্বাগত বক্তৃতা করেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক দীপঙ্কর কুমার সাহা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আমন্ত্রণপত্র ও প্রচার উপ-কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. তুহিন রায়। এ সময় বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণী অর্চনা উদযাপন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো- সকাল ৭টায় মন্দিরে প্রতিমা স্থাপন, সকাল ৭.১৫ মিনিটে দেবীর আমন্ত্রণ, সকাল ৭.৩০ মিনিটে দেবীর বরণ, সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ষোড়শপাচারে পূজা নিবেদন, সকাল ৮.৪৫ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন, শতকন্ঠে গীতাপাঠ, সকাল ১০.৩০ মিনিটে প্রসাদ বিতরণ। এছাড়া বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়