৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কমলার কারিশমা

প্রতিদিনের ডেস্ক:
কমলা। বিশ্বের নানা অঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বেশ চাহিদার ফল।
স্বাদে টক বা মিষ্টি। এটি সাধারণত শীতকালীন ফল ও ঠ‍াণ্ডা মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ সারাতে এ ফলটি অত্যন্ত কার্যকরী।সহজলভ্যতা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কমলা উৎপাদন হয় ব্রাজিলে। ধারণা করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম কমলা উৎপন্ন হয়।
ব্যবহার কমলা ফল বা জুস হিসেবে খাওয়া হয়। ফ্রুট সাল‍াদ ও বিভিন্ন ডেজার্টেও এর ব্যবহার রয়েছে। কমলার খোসা দিয়ে তৈরি হয় অরেঞ্জ অয়েল যা খাবারে ফ্লেভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কমলার খোসা দিয়ে ড্রিংকস ও পারফিউম তৈরি হয়। কমলা ফুলের পাপড়ি দিয়ে রোজ ওয়াটারের ফ্রুট ভার্সন অরেঞ্জ ওয়াটার তৈরি হয়। কমল‍ার পাতা পানিতে সিদ্ধ করে তৈরি করা হয় হারবাল চা। কমলার আচার ও জেলি বহু আগে থেকেই বাজারে ও খাবার টেবিলে সহজলভ্য একটি উপাদান। পুষ্টিমান
• অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কমলা ত্বক, চোখ ও হৃৎপিণ্ডের জন্য আদর্শ খাবার। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যানসার সেল বেড়ে উঠতে পারে না।• কমলাতে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। চোখের জন্য ভালো এ ফলটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায় ও বয়সের ছাপ দূরে রাখে।
• ভিটামিন এ ও সি দুটোই ভীষণ শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। এগুলো ফ্রি রেডিক্যালসের খারাপ প্রভাব থেকে ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজেজ প্রতিরোধ করে।• কমলায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। রয়েছে প্যাকটিন– একটি ডায়েটারি ফাইবার যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।• এতে আরও রয়েছে হেসপারেটিন, নারিনগিন ও নারিজেনিন ফ্লেভোনয়েড যা এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে ও ইমিউন সিস্টেমের সুস্থতা বজায় রাখে।আপনি জানেন কি-• ভ্যানিলা ও চকলেটের পর সারাবিশ্বে জনপ্রিয় ফ্লেভার হচ্ছে কমলা।• ইংল্যান্ড ও ইতালিতে কমলা ও কমলার ফুল কসমেটিক্স ও পারফিউমে ব্যবহৃত হয়।

 

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়