১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা রাতভর বিক্ষোভ করে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরাল এবং জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। তারা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে পৌঁছান এবং সেখানে স্থাপিত শেখ মুজিব ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রতিকৃতিতে হামলা চালিয়ে হাতুড়ি, কুড়াল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পুরো স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারীরা পৌরসভার মোড়ে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে সেখানে শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিও গুঁড়িয়ে দেন।বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনা ও অন্যান্য নেতার ছবি ভাঙচুর করেন এবং প্রধান সড়কে এসব ছবি পদদলিত করেন। এরপর তারা জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত শেখ মুজিবের ম্যুরালও ভাঙচুর করেন। বিক্ষোভের সময় ছাত্র-জনতা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’, ‘জনে জনে খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক ও সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলামের বক্তব্য নিতে চাইলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে নাম না প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা জানান, ছাত্রলীগের এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা তাদের ক্ষোভের কারণ। তারা দাবি করেছেন, ফ্যাসিবাদী চিহ্ন ধ্বংস করাই তাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য। এটি দ্বিতীয়বার চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা এই কার্যালয়ে আংশিক ভাঙচুর করেছিল। সে সময় থেকেই এই কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এছাড়া গত ৫ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত ম্যুরালগুলো আংশিক ভাঙা ও পোড়ানো ছিল। আজ সেগুলো পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়