১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ  । ১৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

ডুমুরিয়ার পাইকারি বাজারে টমেটোর ছড়াছড়ি, কেজি ৩ টাকা

ডুমুরিয়া সংবাদদাতা
খুলনার ডুমুরিয়ার পাইকারি বাজারে আকারভেদে ৩ থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি টমেটো। শীতের শুরুতে জেলায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও শীতের শেষ মুহূর্তে এসে খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১০ টাকা কেজিতে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডুমুরিয়ার পাইকারি বাজারগুলো ঘুরে এমনটি দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্যাপারীরা টমেটো বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আড়তগুলোতে কৃষকরা ভ্যান ভরে টমেটো নিয়ে আসছেন। ব্যাপারীরা সেই টমেটো বাছাই করছেন। অনেক ব্যাপারী পিক-আপভ্যানে বিভিন্ন ক্ষেত থেকে টমেটো সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন আড়তগুলোতে। আকারভেদে টমেটো বাছাই করে ট্রাক ভর্তি করা হচ্ছে শহরের বাজারে পাঠানোর জন্য। অন্যদিকে, খুচরা ব্যবসায়ীরা ভ্যান ভর্তি করে টমেটো নিয়ে যাচ্ছেন খুচরা বাজারে। আরতদাররা জানান, এবার শীত মৌসুমে ডুমুরিয়ায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু শীত কমতে থাকায় খুচরা পর্যায়ে এখন টমেটোর চাহিদা কম। শীতের সবজিও কমতে শুরু করেছে।

টমেটোর দাম এখন অনেক কম। এ সুযোগে বড় কোম্পানিগুলো টমেটো সংগ্রহ করছে। অনেকেই কোল্ড স্টোরেজ করে টমেটো পরবর্তী শীত মৌসুম পর্যন্ত সংরক্ষণ করবে। ব্যবসায়ী সজিব ভুঁইয়া বলেন, টমেটোর দাম কমে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো টমেটো সংগ্রহ করছে। বাছাই করা ফ্রেশ টমেটো প্রতি কেজি পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাছাই ছাড়া টমেটো তিন টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়তদার হাফিজুল ইসলাম বলেন, এখন শীত মৌসুমের শেষ মুহূর্তের টমেটো বিক্রি চলছে। আরেকটু গরম পড়লে টমেটো পচতে শুরু করবে। এজন্য ক্ষেত থেকে কৃষকরা টমেটো তুলে সব বিক্রি করে দিচ্ছেন। শীতের সবজিও বাজারে কমতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, বড় বড় সস কোম্পানিগুলো ব্যাপারীদের মাধ্যমে টমেটো সংগ্রহ করে। ব্যাপারীরা চাহিদামতো বাছাই করা টমেটো সরবরাহ করেন।ব্যাপারী সবুর মিয়া বলেন, শীতের শেষে সস কোম্পানির টমেটোর চাহিদা বেশি থাকে। আমরা চাহিদা অনুযায়ী টমেটো সরবরাহ করি। বিভিন্ন এলাকার আড়ত থেকে টমেটো সংগ্রহ করি। আড়তদারদের অগ্রিম বলে রাখতে হয়। কারণ শীতের শেষে বড় মার্কেটে টমেটোর চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। কৃষক হান্নান শেখ বলেন, অক্টোবরের শুরু থেকে টমেটো তোলা শুরু হয়। শীতকালীন এ টমেটো মার্চের শুরু পর্যন্ত পাওয়া যায়। এরপর গরমকালীন সবজি বাজারে আসে। এজন্য মার্চ মাসে আর টমেটোর চাহিদা থাকে না। তিনি আরও বলেন, এবার পুরো শীতে টমেটো আর ফুলকপি চাষ করেছি। তবে টমেটোর ফলন ভালো হয়েছে। শীতের শুরুতে ভালো দাম পেলেও গত দুই সপ্তাহ টমেটোর দাম কমে গেছে। শরাফপুরের কৃষক ছমেদ আলী বলেন, এবার শীতে আমাদের ইউনিয়নে বেশিরভাগ জমিতে টমেটো আর ফুলকপি চাষ হয়েছে। এখনো ক্ষেত থেকে দুই বার টমেটো তোলা যাবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়