মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর
কোটচাঁদপুরের কাগমারি শ্মশানে মাঠে অভিযানে চালিয়েছেন বনকর্মকর্তা। বুধবার রাতে অভিযান চালান তিনি। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় ৬ টি বুনো হাঁসপাখি,পাখি ধরার সরঞ্জাম ও তাদের বহনকারী মটর সাইকেল ও রিক্সা।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড়সহ বিভিন্ন বিলে ইলেকট্রিক ডিভাস বাজিয়ে পাখি শিকার করে আসছিলেন একটি চক্র। এমন খবরে বুধবার রাতে কাগমারি শ্মশানে মাঠে অভিযান চালান কোটচাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন ৬ টি বুনো হাঁসপাখি,পাখি ধরার সরঞ্জাম ও তাদের বহনকারী একটি মটর সাইকেল ও ইঞ্জিন চালিত রিক্সা। আটক করেন দুই জন পাখি শিকারীকে। যার রয়েছে যশোরের অভয়নগর রামসরা গ্রামের মনোহর মন্ডলের ছেলে সমর মন্ডল (৪৫) ও কোটচাঁদপুরের দুধসরা গ্রামের মহর আলী বিশ্বাসের ছেলে মুজিবর বিশ্বাস (৫০)।
ধরা পড়ার সমর নিজেকে কাঠমিস্ত্রী বলে দাবি করেন। আর বাড়ি বলেন কাগমারি গ্রামেই। আর মুজিদ নিজেকে রিক্সা চালক বলে দাবি করেন। তবে ওনিই এই পাখি শিকারীর মূল হোতা বলে জানিয়েছেন সমর মন্ডল। তিসি বলেন,আমরা ওনার কথা মত এসেছি। পাখিতে যে লাভ হবে তা ভাগাভাগি করে নেয়া হবে এমন চুক্তিতে পাখি ধরতে এসেছি। কোটচাঁদপুর বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,বুধবার রাতে আমার বনবিভাগের উদ্ধোতন কর্মকর্তা নির্দেশে কোটচাঁদপুরের বলুহর বাওড়ের কাগমারি শ্মশানের মাঠে যায়। এরপর সেখান থেকে ৬ টি পাখি উদ্ধার করি। এ ছাড়া উদ্ধার করা হয় তাদের বহনকারী মটর সাইকেল ও রিক্সা। এ সময় আটক করা হয় দুই জন পাখি শিকারীকে।তিনি বলেন,এরপর ওই রাতে আসামিদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা কোটচাঁদপুরে এসে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ যশোর শার্শা ইউনিটের জাহাঙ্গীর আলম বলেন,পাখি সহ আসামি আটকের খবরে আমরা কোটচাঁদপুরে আসি। এরপর ওই পাখি শিকারীদের নামে বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ আইনের ৩৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ওই ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় বন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার পর আমরা আসামিদেরকে আদালতে পাঠিয়েছি।

