নিজস্ব প্রতিবেদক॥
যশোর শহরের শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকা থেকে দিনদুপুরে রকি (২৩) নামে এক যুবককে অপহরণ করে বেধড়ক নির্যাতন চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরাতন কসবা এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে নেওয়াজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে তাকে ইজিবাইকে তুলে চোখ-মুখ ও হাত-পা বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালায়। এ সময় তারা মোবাইল ফোন ও টাকা লুট করে কারবাল রোড এলাকায় সিএমপি অফিসের ভেতরের মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে যায়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন আহত রকি শঙ্কামুক্ত। তার শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি যুবক রকি পুরাতন কসবা এলাকার আমিনুর রমহান মধুর ছেলে। তিনি জনতার লাইব্রেরীর কর্মচারী।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রকি জানান, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে তিনি কর্মস্থলে আসছিলেন। এ সময় নেওয়াজের নেতৃত্বে একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে অতর্কিতভাবে টেনে তুলে নেয় একটি ইজিবাইকে। গাড়িতে তুলেই তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে। পরে বিভিন্ন স্পটে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে আর তারা বলতে থাকে আজ তোর মেরেই ফেলবো। চোখ বাঁধা থাকার কারণে কোন কোন স্পটে নিয়ে তাকে নির্যাতন চালানো হয়েছে-তা তিনি আঁচ করতে পারেননি। তিনি বলেন-পুরাতন কসবার সন্ত্রাসী নেওয়াজকে চিনতে পেরেছেন। তবে অন্য যারা ছিলেন, তাদের চেনেন না। তার মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা কিছু টাকা সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে। তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। এ খবর ওই এলাকার লোকজনের মাধ্যমে স্বজনরা জানতে পেরে কারবাল সিএমবি অফিসের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। আহতের ভাষ্যমতে, ৯টার দিকে তাকে তুলে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্পটে নিয়ে পেটানো হয়েছে আর তারা বলেছে আজ তোর মেরেই ফেলবো। পূর্ব শত্রুতা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন নেওয়াজের সাথে একদিন কথা কাটাকাটি হয়েছিল। কিন্তু সেই কারণে এমনটি করলো কি-না, তা বোধগম্য না। তবে আহত রকির স্বজনরা জানান-আগে নেওয়াজের সাথে রকির বিরোধ ছিল। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে সেই কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না, তা নিশ্চিত না। তাকে সকাল ৯টার পর থেকে টানা দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নির্যাতন করা হয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে কোতয়ালি থানা পুলিশ জানায় বিষয়টি জানা নেই।

