১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

অবশেষে সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া সেই বৃদ্ধা ছেলের সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন

উৎপল মণ্ডল, শ্যামনগর
অবশেষে গহীন সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া শুকুরুননেছা নামের সেই বৃদ্ধা নারী ছেলের রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ঘরে ফিরলেন। গতকাল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তাঁর উদ্ধার হওয়ার খবর প্রকাশ করেন ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে। আর ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে নজরে আসে ওই বৃদ্ধার ছেলে রফিকুল ইসলামের। এরপরই যশোর জেলার মনিরামপুর এলাকা থেকে সাতক্ষীরা শ্যামনগরে ছুটে আসেন তাঁর ছেলে রফিকুল। পরে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে শ্যামনগর থানা থেকে মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।এর আগে গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বাদুজুলি খালের পাশে গাছের ডাল থেকে ওই বয়স্ক নারীকে উদ্ধার করে লোকালয়ে নিয়ে আসেন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা এলাকার দুই জেলে।
তবে রহস্য থেকে গেলো ওই বৃদ্ধ নারী কিভাবে বড় বড় নদী পার হয়ে গহীন বনে পোঁছালো। কতদিন সেখানে ছিলেন। যদি বেশিদিন সুন্দরবনে থেকে থাকেন তাহলে তিনি সেখানে কি খেয়ে বেঁচে ছিলেন। এমন সব প্রশ্নে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধা নারীকে ঘিরে। যদিও শেষ পর্যন্ত এসব প্রশ্নের কোন উত্তর মেলেনি ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে।ওই বৃদ্ধার ছেলের রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর মা কিছুটা মানুসিক ভারসম্যহীন। এর আগেও কয়েকবার মাকে হারিয়েছেন এবং একবার এক বছর পরে মাকে খুঁজে পেয়েছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। আমরা একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। আমাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায়। আমার মামার সরকারি চাকরি করেন। পিতাও সরকারি চাকরি করতেন। আমার মা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়াতে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যার ফলে বাবার চাকরি চলে যায়। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে মা আমার সাথে যশোরের মনিরামপুরে থাকতেন।কবে থেকে মা নিখোঁজ এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, গত এক মাস দশ দিন আগে আমি যশোরের মনিরামপুর থেকে গ্রামের বাড়ি খুলনার তেরখাদায় পারিবারিক একটি কাজে যায়। আমি যাওয়ার পর থেকে মা গ্রামের বাড়িতে আসার ইচ্ছা পোষণ করে। তাঁর একদিন পর আমার স্ত্রী খবর দেয় মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরে আমি সেখানে ছুটে যাই এবং আশপাশে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু কোথাও খুঁজে পায়নি। এরপর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে দিও মাকে খুঁজে পায়নি। বড় বড় নদী পার হয়ে কিভাবে গহীন সুন্দরবনে পোঁছালো, সেখানে কতদিন ছিলেন, কি খেলেন আপনার মা এমন প্রশ্নের উত্তরে রফিকুল ইসলাম বলেন, মা এসব কিছুই বলতে পারছে না।শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, সুন্দরবন থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বৃদ্ধা নারীকে তাঁর ছেলের রফিকুল ইসলাম শ্যামনগর থানা থেকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়