নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর উপশহরে আনন্দ কিন্ডার গার্ডেন এলাকায় দুঃসাশন চুরি সংগঠিত হয়েছে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা বাড়ির রান্না ঘরের ভেন্টিলেটার এর এ্যাডজাষ্ট ফ্যান ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ৫ভরি স্বর্ণালংকরসহ ৮লাখ ১২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ১৮ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি করেন, যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া বাজার এলাকার বাসিন্দা বর্তমানে উপশহর সেক্টর নং ২,প্লট নং৩২ আনন্দ কিন্টার গার্ডেন এর পাশের্ব হাসিব মাষ্টারের ৬তলা বিশিষ্ট বাড়ির তৃতীয় তলার উত্তর পাশ্বের ফ্লাটের ভাড়াটিয়া মৃত আবু সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে শরীফ উদ্দীন ওরফে সোহাগ। মামলায় আসামী করেন অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে উপশহর ডি ব্লক মসজিদ এলাকা থেকে স্বাধীন (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। সে মহরের শংকরপুর সন্যাসী দিঘীর পাড় হাফিজের বাড়ির পাশে মৃত ইসমাইল হোসেন বাবুর ছেলে। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, বাদির স্ত্রী মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে কর্মরত থাকায় তার অফিসেরর কাছে গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ৮ টার সময় উক্ত ভাড়া বাসার সব জানালা দরজা তালা বন্ধ করে বাদি ও তার স্ত্রী সন্তানসহ ঢাকায় যায়। ঢাকা থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকাল ১১ টার সময় উক্ত ভাড়া বাসায় এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরের মধ্যে সব জিনিষপত্র এলোমেলো অবস্থায় ছাড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। ২টি বেড রুমের দরজার লক তালা ভাঙ্গা, আলমারী ও ওয়ারড্রপের তালা ভাঙ্গা। ঘরের মধ্যে থাকা ৩টি ওয়ারড্রপের তালা ভাঙ্গা,আলমারী চেক করে দেখেন আলমারীর কাপড়ের ভাজে রাখা নগদ ৪০ হাজার টাকা নেই। ২টি স্বর্ণের চেইন, ২টি স্বর্ণের ব্রেসলেট,২ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, ৪টি স্বর্ণের আংটিসহ ৫ভরি স্বর্ণের মূল্য ৭লাখ ৭২ হাজার টাকা ও নগদ ৪০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ১২ হাজার টাকা নেই। গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাত সাড়ে ৮ টার পর হতে ২৭ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টার পূর্বে সময়ের মধ্যে যে কোন সময় সংঘবদ্ধ চোরেরা ভেন্টিলেটর এর এ্যাডজাষ্ট ফ্যান ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে উক্ত টাকা ও স্বর্ণালংকর চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বাদি বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে চোরকে সনাক্ত করতে না পেরে পারিবারিক ভাবে ও বাড়িওয়ালার সাথে আলাপ আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় এসে মামলা করেন।