সুন্দর সাহা
বেনাপোল স্থলবন্দরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বহু আলোচিত সোবহান-মাসুদ-তরিকুল ও সাঈদ সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আনা শাড়ি থ্রিপিস বাজিসহ বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রী আটক করেছে বেনাপোল বিজিবি। দু দিনে ২ কোটি টাকার শাড়ি-থ্রিপিস-বাজিসহ কসমেটিক্স জব্দ করেছে বিজিবির বিশেষ টিমের সদস্যরা। বুধবার রাতে কাগজপুকুর বটতলা থেকে এক কোটি ১০ লাখ টাকার মালামাল আটক করা হয়েছে। গতকাল একই কায়দায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭০ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করেছে বিজিবির বিশেষ টিমের সদস্যরা। আটকের সময় সিন্ডিকেটের হোতা মৃত ওমর আলীর ছেলে বড় আঁচড়ার সোবহান, অলিখিত বিজিবি ক্যাম্পের কর্মচারি পরিচয় দানকারি মাসুদ মাসুদ, কাস্টমসের কারেন্ট মিস্ত্রি সাঈদ হোসেন এসব মালামাল পাচার করছিলেন। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। তারা এসময় তারা উপস্থিত থাকলেও তাদের অদৃশ্য কারনে আটক করেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিজিবির দায়িত্বরত সদস্যরা তাদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভারত থেকে আমদানিকৃত গাড়িতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব মালামাল আসে সেই সমস্ত গাড়িতে ড্রাইভারদের সাথে লাইন করে অবৈধ মালামাল নিয়ে আসে। এর সাথে কতিপয় আমদানিকারক-রফতানিকারক ও সিএণ্ডএফ এজেন্টরা জড়িত বলে জানা গেছে। আমদানিকৃত ট্রাকে করে এসব মালামাল পাচার করে আনা হয়। গাড়িটি বাংলাদেশে প্রবেশের পর গোডাউনে ঢোকার আগেই রাস্তা থেকে মালামাল নামিয়ে তাদের পরিচিত ইয়াকুবসহ এই সিণ্ডিকেটের বিভিন্ন বাড়িতে মজুত করে। এরপর এই চক্রের সাখে জড়িত আমদানিকারক-রফতানিকারক ও সিএণ্ডএফ এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করে।সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় সাপ্লাই দিয়ে থাকেন। এর সাথে স্থানীয় বন্দর ব্যবহার কারী প্রশাসন জড়িত রয়েছে। এই সিন্ডিকেট চালিয়ে সোবহান মাসুদ, তরিকুল ও সাঈদ গং কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এলাকায় গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পত্তি-গাড়ি-বাড়ি-ব্যাংক ব্যালেন্স। এলাকাবাসীর দাবিপ্রিশাসন এদের পক্ষে থেকে বিশেষ সুবিধা নিচ্ছে। বিশেষ কারণে পুলিশ এই চক্রকে আটক করে না। এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযানের দাবি এলাকাবাসীর। এদের সম্পদের উৎস কি সেই সন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন মাঠে নামলেই বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।

