নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা ও সদর উপজেলার দৌলতদিহি ও হাশিমপুর মধ্যপাড়ায় আলাদা তিনটি মারামারির ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। খোলাডাঙ্গার জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের স্ত্রী নুরুন্নাহার মুন্নীর দায়েরকরা মামলার আসামিরা হলো, খোলাডাঙ্গার মৃত স্বপন মির্জার ছেলে জাহিন (১৯), মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে আশা (৩০), লুৎফর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (৩২), ইসমাইল হোসেনের ছেলে জাহিদ (২৫), টেংকুর ছেলে হোসেন (২৬), খড়কী স্টেডিয়ামপাড়ার বাবলুর ছেলে ভাগ্নে সাগর (২৮), মিণপাড়ার অন্ত (২৩), খড়কীর মিন্টুর ছেলে প্রান্ত (২২), মৃত স্বপন মির্জার স্ত্রী যুথী (৩৮) এবং খোলাডাঙার নুরুল ইসলাম দেওয়ানের ছেলে লাদেন বাবু (৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত ৬/৭জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, তার ছেলে ওমর ফারুক আবির (২৪) ঢাকায় বিকেএসপিতে লেখাপড়া করে। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে আসে। সে সময় আসামিদের সাথে পূর্ক শত্রুতার জেরে গত ৮ মার্চ বিকেলে ব্রাক অফিসের পাশে তাকে পেয়ে আসামিরা মারপিট করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সে সময় পায়ে হেটে আবির বাড়ি ফিরছিলো। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। পারে আবিরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তিনি থানায় মামলা করেন। সদর উপজেলার হাশিমপুর মধ্যপাড়ার সোলায়মান হোনেনের (৪৮) দায়ের করা মামলার আসামিরা হলো দুইজন। এরা হলো, ওসমান মোল্লা (৫০) ও তার ছেলে রুবেল হোসেন (২৫)। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ৬ মার্চ রাতে তারাবির নামাজ শেষে বাড়ির পাশে গেলে আসামিরা পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে মারপিট করে। তাকে কুপিয়ে জখম করে। সে সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। পরে রুবেলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হলে তিনি থানায় মামলা করেন। ঘটনার এক মাসেরও বেশি সময় পর পুলিশ মামলা করে। দৌলতদিহি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিপন হোসেনের দায়ের করা মামলার আসামিরা হলো, তার আপন ভাই মোলায়েম (৫২), ভাবি রঞ্জু বেগম (৪৫), ভাইপে ইমরান হোসেন (২৩), ভাইজি চম্পা খাতুন (২০), এবং জামায় রাজাপুর গ্রামের গালিব ইমরান (৩২)। এজাহারে রিপন হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে কারনে প্রায় সময় তাকে খুন জখমের হুমকি দেয়। গত ৭ এপ্রিল বিকেলে আসামিরা তার বাড়িতে ঢোকে এবং গালিগালাজ করতে থাকে। তিনি নিশেধ করায় তাকে মারপিটে জখম করে। দা দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার স্ত্রী আসমা বেগম ঠোকাতে গেলে তাকেও মারপিটে জখম করে। পড়নের কাড়প টেনে শ্লীলতাহানী ঘটনায়। ঘরের মধ্যে থানা টাকা ও সোনার গহনা চুরি করে। একটি ইঞ্জিন ভ্যান ভাংচুর করে। পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা চলে যায়। পরে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতলে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরপর থানায় মামলা করেন।

