প্রতিদিনের ডেস্ক
বলিউডে প্রথম ছবি থেকেই নজর কাড়লেও ‘দিল্লি সিক্স’ ঘিরে স্মৃতি সুখের ছিল না অদিতি রাও হায়দারির। একে তো নায়িকার চরিত্র থেকে তিনি বঞ্চিত হন। তার ওপর চিত্রায়িত বেশ কিছু দৃশ্য থেকে বাদ পড়েন তিনি। ২০১১ সালে ‘রকস্টার’ ছবিতে সুযোগ পান, কিন্তু সেখানেও তিনি পার্শ্বচরিত্রে। তার যাত্রাপথ ছিল বন্ধুর। ২০১৩ সালে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমারের বিপরীতে ‘বস’। কিন্তু এই ছবিতেও অদিতির থেকে বেশি গুরুত্ব পায় সোনাক্ষীর আইটেম ডান্স। তবে ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই যেন অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের সঙ্গে তার এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা। ২০১১ সালেই সুধীর মিশ্রর পরিচালনায় তিনি অভিনয় করেন ‘ইয়ে সালী জিন্দেগি’-তে।
এই ছবিতে মোট ২২টি চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করেন অদিতি। ভেঙে দেন মল্লিকা শেরাওয়াতের ‘মার্ডার’ ছবিতে দীর্ঘ চুম্বনের রেকর্ড। কিন্তু এই ছবিও তার ক্যারিয়ারে বাড়তি গতি যোগ করতে পারেনি। ইন্ডাস্ট্রিতে অদিতির পরিচয় হয়ে দাঁড়ায় ‘সাহসী অভিনেত্রী’ হিসেবে। তা যেন মল্লিকার জুতায় পা গলানো। কিন্তু পরিপূর্ণ ‘নায়িকা’ কোনো দিনই হয়ে উঠতে পারেননি। ‘মার্ডার থ্রি’ ছবিতে রণদীপ হুদার সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেন তিনি। যদিও দর্শক সেভাবে অদিতির সাহসী অভিনয়ে সন্তুষ্ট হননি।
একই ভাবে ‘মার্ডার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবির অভিনেত্রী মল্লিকা হয়ে ওঠেন রাতারাতি জনপ্রিয়। কিন্তু অদিতির ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি। সেই ছবির প্রচারের সময় দুই নায়িকার তুলনা টানা হতেই যেন মেজাজ হারান অদিতি। তিনি বলে ওঠেন, ‘মানুষের মনটা শক্তপোক্ত হতে হয় একেবারে স্টিলের মতো। স্তনে সিলিকন দিয়ে লাভ নেই।’ অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যে খানিক হতচকিত হয়ে যান সহ-অভিনেতা রণদীপ হুদা। যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। পাশাপাশি নিজেকে সুন্দর করে তোলার পেছনে অস্ত্রোপচারকে অবশ্য সমর্থন করেন অভিনেত্রী। গুঞ্জন, অদিতি নিজেই তার চেহারায় রদবদল ঘটাতে একাধিক অস্ত্রোপচার করিয়েছেন।