১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

খুবিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

খুবি সংবাদদাতা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে চলছে উৎসবের জোর প্রস্তুতি। ‘এসো হে বৈশাখ’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে পুরো ক্যাম্পাস- এ প্রত্যাশা নিয়ে দিনভর চলছে সাজসজ্জা, মহড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের পরিকল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ) সকাল থেকে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে উদযাপিত হবে পহেলা বৈশাখ। সকাল ৭.১৫ মিনিটে বর্ষ আবাহনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে। এরপর সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মেলা উদ্বোধন ও সকাল ১০টায় মূল আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় উৎসবমুখর হয়ে উঠবে গোটা ক্যাম্পাস। এছাড়াও দিনব্যাপী লাঠিখেলা, ম্যাজিক শো, নাগরদোলাসহ নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা স্কুলে চলছে রঙ-তুলি নিয়ে বৈশাখী সাজের প্রস্তুতি। এখানে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত আছেন বিভিন্ন মুখোশ তৈরিতে, পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে বিশালাকৃতির কাঠামো, যা শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত হবে। ভাস্কর্য, কাঠের তৈরি স্ট্রাকচার ও মুখোশগুলো বৈশাখী শোভাযাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তৈরি করছেন হাতে আঁকা ক্যানভাস পেইন্টিংও, যা নববর্ষের আনন্দে সমৃদ্ধ করবে ক্যাম্পাসের চারপাশ। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসের খোলা স্থান রঙিন আলপনা, ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য। বৈশাখী পোশাকেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি, যাতে রঙিন উৎসবে রাঙিয়ে তোলা যায় নতুন বছরকে। ১৩ এপ্রিল (রবিবার) বর্ষবরণের শেষ প্রস্তুতি দেখতে চারুকলা স্কুলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম ও উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান। এ সময় তাঁরা প্রস্তুতিমূলক বিভিন্ন কাজ ঘুরে দেখেন। এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে আমরা চাই এই উৎসব হোক আনন্দ, ঐতিহ্য আর সৌহার্দ্যের মিলনমেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশীদ খান বলেন, এবারের পহেলা বৈশাখে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি আরও একবার জীবন্ত হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এটি হবে এক আনন্দমুখর পরিবেশ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ কেবল একটি দিন নয়, এটি বাঙালির আত্মপরিচয়ের প্রতীক। তাই, এবারের আয়োজন হবে আরও বিস্তৃত ও অংশগ্রহণমূলক।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়