মঈন উদ্দিন খান, কোটচাঁদপুর
কিস্তির টাকা পরিশোধ না হতেই বাসে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে ইঞ্জিন চালিত ভ্যানটি। সেই সাথে মারা গেছেন সংসারের একমাত্র আয়-রোজগারের মানুষ চৈতন্য পাল। গেল রবিবার (১৩-০৪-২৫ ) সকালে ঘটে ওই দূর্ঘটনা। এখন শ্বাশুড়ি আর দুই সন্তানকে নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছেন রেখা রানী। এখন এনজিওর কিস্তি আর সংসার এ দুই নিয়ে চিন্তার ভাজ কপালে তাঁর। পরিবার সুত্রে জানা যায়, চৈতন্য পাল (৩৫)। তিনি ছিলেন কোটচাঁদপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত কার্তিক দাসের একমাত্র ছেলে। পৈত্রিক সুত্রে পেয়েছিল বসত বাড়ির ৫ শ জমি। তাঁর উপরই ছিল বসত ঘর। মাটির জিনিসপত্র তৈরী করা ছিল চৈতন্যের পেশা। তবে সেটা ছেড়ে ছিল বেশ আগে। কারন মাটির কাজ করতে প্রয়োজন ছিল বেশ জায়গা। যা তাঁর ছিল না। এ কারনে জীবিকার তাগিতে বেঁচে নিয়েছিল ইঞ্জিন চালিত ভ্যান। যা তিনি এনজিও থেকে টাকা তুলে কিনে ছিল। রবিবার (১৩-০৪-২৫) তারিখ সকালে সেই ভ্যানটি নিয়ে কলার ভাড়া নিয়ে যাচ্ছিল কোটচাঁদপুর শহরে। পথিমধ্যে এলাঙ্গী মাঠের সামনের সড়কে ঘটে দূর্ঘটনা। এতে করে দুমড়ে মুচড়ে যায় চৈতন্য পালে। আর গুরুতর আঘাত পেয়ে মারা যান তিনি। এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,দূর্ঘটনার খবর জানতাম। তবে অবস্থা খারাপ সেটা জানতাম না। এখন জানতে পারলাম। সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন,ওই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী রেখা রানী বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তবে রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

