চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী দামুড়হুদা মডেল থানায় শিক্ষক সাজিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গতকাল শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকালে গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জরুরি সভায় প্রভাষক সাজিদ হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। রবিবার (২৭ এপ্রিল) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলার মদনা গ্রামের মৃত ওহিদুল ইসলামের ছেলে ও দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক। মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক সাজিদ হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই ছাত্রী সে সময় ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ত। তখন থেকে তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সদরের গুলশান পাড়ার কুতুব মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া নেওয়া একটি রুমে প্রাইভেট পড়ানোর সময় আবারও ধর্ষণ করেন। এরপর ওই ছাত্রী তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সাজিদ নানাভাবে টালবাহানা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিত্র বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’ দামুড়হুদা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাহমিদা রহমান বলেন, ‘ঘটনার তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (অ.দা) জিয়াউল হককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) ডাক্তারি পরীক্ষার করানোর জন্য ভুক্তভোগীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

