নিজস্ব প্রতিবেদক
মানব পাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। আসামীগণ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন লোকজনকে ইটালি সহ ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রে ভাল বেতনে চাকুরীরর প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে লিবিয়া বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রাখিয়া মারধোর করতঃ জীবননাশের ভয় দেখিয়ে অমানষিক অত্যাচারের ভিডিও ভিকটিমদের পরিবারের নিকট প্রেরণ করিয়া মোটা অংকের অর্থ আদায় করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপরে বর্নিত গ্রেফতারকৃত আসামীরা মামলার এজাহারে বর্নিত অন্যান্য সহযোগী আসামীদের সহিত পরস্পর যোগসাজসে সূত্রে বর্নিত মামলার ভিকটিম সাজেদুল ইসলাম রাকিব (২৮) কে ইটালীতে ভাল চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ২০ লাখ টাকা নিয়ে গত ১০/০১/২০২৪ খ্রিঃ ইটালী পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় পাচার করে দেয়। অতঃপর লিবিয়ায় ত্রিপলীতে অবস্থিত শরিফ মাফিয়ার ক্যাম্পে আটক রেখে অমানষিক নিযার্তন করতঃ ভিডিও তার পরিবারের কাছে পাঠিয়ে মুক্তিপন হিসেবে আরো ২০ লাখ টাকা, উপরে বর্নিত গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাংক হিসাব এবং নিজ নামীয় বিকাশ এজেন্ট এর মাধ্যমে গ্রহন করে। অতঃপর ভিকটিম মুক্তিপেয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। উক্ত আসামীদের ব্যাংক হিসাব পযার্লোচনায় প্রাথমিকভাবে দেখা যায় অতি স্বল্প সময়ে আসামীদ্বয়ের একাউন্টে ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এজাহারনামীয় আসামী সহ অন্যান্য সংঘবদ্ধ পাচারকারী দলের সহিত জড়িত থাকিয়া এই মামলার ভিকটিম সহ অন্যান্য ভিকটিমদের নিকট থেকে তাহাদের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে পাচার ও মুক্তিপনের টাকা গ্রহন করেছে মর্মে স্বীকার করে। এছাড়া তাহাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের অন্যান্য একাউন্টে তথ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এর বিএফআইইউ শাখায় যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে। বিএফআইইউ শাখা হতে তথ্য প্রাপ্তির পর বর্নিত আসামীদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।