১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

মেয়র হতে নয়, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মামলা করে‌ছি : মঞ্জু

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, আদালত আজ আপত্তি শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। সরকার পক্ষ থেকে বা কোনো পক্ষ থেকে আপত্তি দেওয়া হয় কিনা? কিন্তু কোনো পক্ষই আপত্তি দেয়নি। যেহেতু কোনো পক্ষই আপত্তি দেয়নি, জবাব দেয়নি এজন্য মামলা দ্রুত এক তরফা নিষ্পত্তির জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি। রোববার (৪ মে) আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি জানিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল রোববার। কিন্তু রোববারও উল্লেখিত মামলার বিবাদী পক্ষ আদালতে উপস্থিত হননি। নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমি নিজে এই আদালতের অনুমতি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছি। বলেছি মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে সাত বছর আগে ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম। সাত বছর আমি ন্যায়বিচার পাইনি। দেশে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। এখন আদালত প্রভাবমুক্ত, আমি সেই প্রভাবমুক্ত আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছি। আমি মনে করছি সকল ষড়যন্ত্র-নস্যাৎ করে আদালত ন্যায়বিচার করবেন। আমি বলেছি যে মেয়র হওয়ার জন্য আদালতে মামলা করিনি। আমি মামলা করেছি মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমার আবেদন বিবেচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন এবং তাতেই আমি ন্যায়বিচার পাব। তিনি বলেন, যে তথ্য প্রমাণ আদালতে জমা দিয়েছি, তার ভিত্তিতেই আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন এবং তাতেই আমি ন্যায়বিচার পাব। আরেকটি তারিখ উনি নির্ধারণ করবেন এবং বিচারালয়ের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। আমরা এই বিচারালয়ে গত ১৫ বছর ধরে নানা কারণে জামিন পাইনি, বিচার পাইনি। কিন্তু এখন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। আমি আশাবাদী এখন আমরা ন্যায়বিচার পাব। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৫ মে কেসিসির চতুর্থ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। কারচুপির অভিযোগে ফলাফল বর্জন করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১১ জুলাই ফলাফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন মঞ্জু। প্রায় ৭ বছর পর ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির মধ্য দিয়ে মামলাটির কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে কেসিসির চতুর্থ পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের ১২ জুন কেসিসির পঞ্চম নির্বাচনেও বিজয়ী হন তালুকদার আবদুল খালেক। গত বছর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ১৯ আগস্ট কেসিসির মেয়র এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে অন্তর্বর্তী সরকার।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়