নিজস্ব প্রতিবেদক
চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি’র দরপত্র প্রত্যাহার ও সিকিউরিটির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে যুগ্ম পরিচালক এএফএম শফিকুল ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর শহরের বারান্দী সরদার পাড়ার মেসার্স মাহফুজ ট্রেডিং এর মালিক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শেখ তাজ হোসেন তাজু। আসামিরা হলো, চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি’র বীজ প্রকিয়াজাতকরন কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক এএফএম শফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গার শফিকুরর হমান পিন্টু, শরিফুজ্জামান সিজার ও শাহজাহান খান। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান ঠিকাদরী ব্যবসা করেন। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ও ৩০ সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা বিএডিসি’র বীজ প্রকিয়াজাতকরন কেন্দ্রে পরিবহন ঠিকাদার দরপত্র আহবান করা হয়। মাহফুজুর রহমান দরপত্রে অংশগ্রন করেন এবং সর্বনিন্ম দরদাতা হিসেবে কাজ পান। পরবর্তীতে তিনি সিকিউরিটির ১০ লাখ টাকা জমা দিয়ে আসেন। ৩ অক্টোবর আসামি যুগ্ম পরিচাল শফিকুল ইসলাম ফোন করে মাহফুজুর রহমানকে তার অফিসে আসতে বলেন। এদিন তিনি আসামি শফিকুল ইসলামের অফিসে গেলে অপর আসামিরা দ্রুত রুমে ঢুকে অবরোধ করে ফেলে। এক পর্যায়ে আসামিরা খুন-জখমের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর নিয়ে দরপত্র বাতিল বলে ঘোষনা করেন। এ সময় মাহফুজুর রহমান তার সিকিউরিটির ১০ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি মফিকুল ইসলাম দিতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ সিকিউরিটির ১০ লাখ টাকা ফেরত চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। নোশিট গ্রহন করে টাকা ফেরত না দেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।

