নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ও এনায়েতপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিট, লুটপাট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুটি মামলায় মোট ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। আহতরা যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রথম ঘটনা ঘটে নরেন্দ্রপুর গ্রামে। ওই গ্রামের খন্দকার তামিম অভিযোগ করে বলেন, ১৪ বছর আগে তার পিতা রেজাউলের নামে সালমা খাতুনের কাছ থেকে জমি কিনে নামজারি করেন এবং ভোগদখলে ছিলেন। গত ৫ মে আসামিরা সালমা খাতুনকে মারধর করে এবং পরদিন তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারপিট করে। অভিযুক্তরা সীমানার পিলার তুলে নেয় ও বিভিন্ন গাছ কেটে নেয়। তামিম আরও জানান, বাধা দিতে গেলে তাকে বাঁশের লাঠি, লোহার রড ও ধারালো দা দিয়ে আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন এবং থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ৯ জন হলেন—মৃত ফজলে করি বিশ্বাসের তিন ছেলে ফশিয়ার রহমান (৬০), রবিউল ইসলাম (৩৫), ওলিয়ার রহমান (৫৮), ওলিয়ারের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪০), ফশিয়ারের ছেলে আব্দুর রহমান (২১), রবিউলের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), আসলামের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (২৮), ফশিয়ারের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৩০) এবং ছেলে হাবিব (২৩)। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে এনায়েতপুর গ্রামে। মামলার বাদী রাশেদ খান অভিযোগ করেন, তার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ১০ মে সকালে মহিদুল মোল্লা ও তার পরিবার সদস্যরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে গালাগাল করে এবং লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে আহত করে। স্ত্রী মিতু বেগম বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি ও তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় অভিযুক্ত চারজন হলেন মহিদুল মোল্লা (৫৫), তার স্ত্রী খালেদা আক্তার কল্পনা (৪৫) দুই ছেলে জনি আলম (২৪) ও রনি আলম (২০)। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

