৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

অভয়নগরে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় ২ লাখ মানুষের ভোগান্তি চরমে

মিঠু দত্ত, অভয়নগর
অভয়নগরে আমতলা নড়াইল সড়কে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় ২ লাখ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যে কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে বাধা হয়ে দাড়িছে কালভার্টটি। এতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। জানা গেছে, যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত শিবনগর ও বাঘুটিয়ার মাঝামাঝি বিলের মধ্যে অবস্থিত বক্স কালভার্টটি প্রায় ৩৫ বছর আগে নির্মাণ করা হয় বলে জানা যায়। প্রায় তিন/ চার বছর যাবত কালভার্টটি বিপদজনক অবস্থায় ছিল। লাল পতাকা উড়িয়ে সাবধানতার চিহ্ন দেওয়া ছিল। তবুও মানুষ ও যানবাহন বিপদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিল। কিন্তু গত দুইদিন আগে একটি ট্রাক কালভার্টের উপর উঠলে কালভাার্টটি ভেঙে পড়ে। এ রাস্তাটি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাস্তা দিয়ে ঢাকাগামী কয়েকটি পরিবহন বাস যেমন নড়াইল এক্সপ্রেস, হামদান ও অন্যান্য পরিবহন বাস গুলো নওয়াপাড়া ব্রিজ পার হয়ে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে নড়াইল হয়ে ঢাকায় যাওয়া আসা করে। এলাকার বাবুল মোল্যা বলেন, কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ার ফলে নওয়াপাড়া নড়াইল-ঢাকা রুটে যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মাত্র ৩ ঘন্টায় নোয়াপাড়া থেকে ঢাকায় যাওয়া যায় এ সড়ক দিয়ে। এছাড়া ট্রাকে মালামাল পরিবহনের জন্য এই রুটটি একটি শর্ট রুট হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে এই কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। গাড়ি চালক জোকায়ের বলেন, কোন মতে দুই পাশ দিয়ে ইজিবাইক ও ভ্যান চলাচল করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম জানান, এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে। ঢাকা, নড়াইল, গোপালগঞ্জ , ফরিদপুর ও মাদারীপুর যেতে এ রোড ব্যবহার করে প্রায় ২ লাখ মানুষের ভোগান্তি চরমে পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে ৬নং বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ তৈয়েবুর রহমানের বলেন, কালভার্ট ভাঙ্গা স্থানটি আমি পরিদর্শন করেছি এবং এলজিইডিকে জানিয়েছি। আশা করি তাড়াতাড়ি একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে। তাছাড়া কালভার্টের দুই পাশে বেড়া নির্মাণ না করলে অপরিচিত মানুষ কালর্ভাটে পরে প্রাণ ও হারাতে পারে। অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী নাজমুলহুদা বলেন, আমরা প্রায় এক মাস আগে কালভার্টটি পুনরায় নির্মাণের জন্য এস্টিমেট করে হেড অফিসে পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। তবে উভয় পাশের সড়ক সংযোগ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য আমরা অলরেডি ডাইভার্ট রোড নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। এদিকে কালভার্টি অতিসত্বর মেরামত করার দরকার তা না হলে সাধারণ মানুষকে খুলনা অথবা যশোর ঘুরে ঢাকায় যেতে হবে। তাই কালভার্টটি যাতে দ্রুত মেরামত করা হয় তার জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়