১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

আধাঘণ্টার কালবৈশাখিতে তছনছ মেহেরপুরের ফল-ফসল ও ঘরবাড়ি

মেহেরপুর প্রতিনিধি
আধা ঘণ্টার কালবৈশাখির তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে মেহেরপুরের ফল-ফসল ও ঘরবাড়ি। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষক। শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় বৃষ্টির পাশাপাশি কালবৈশাখির তাণ্ডব শুরু হয়। ১৫ মে থেকে আম-লিচু সংগ্রহ শুরু হওয়া বাগানের ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ফল ঝরে পড়েছে বলে দাবি কৃষকদের। এছাড়া অনেকের কলা বাগান, পেঁপে বাগান ও ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। এদিকে ঝড়ের পর সন্ধ্যা থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মেহেরপুর শহর, সদর ও মুজিবনগর উপজেলা। গাছপালা ভেঙে পড়ে সড়কে যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। মেহেরপুরের চাঁদবিল গ্রামের কৃষক সাজিবুর রহমানের দেড় বিঘা জমির কলাক্ষেতের প্রায় প্রতিটি গাছ ভেঙে পড়েছে। আর কয়েকদিন পরই কৃষক তার কলা ঘরে তুলতেন। দেড় বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। এখন পুরো ক্ষেত মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। জেলার অনেক কৃষকের অবস্থা সাজিবুর রহমানের মতো। একই গ্রামের আরেক কৃষক রাশিদুল ইসলাম। তিনি জানান, তিনি এ বছর এক বিঘা জমিতে পেঁপের আবাদ করেছেন। গতকালের কালবৈশাখি ঝড়ে সব পেঁপের গাছ মাটির সঙ্গে নুয়ে পড়েছে। তার এ ঝড়ে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগামী ফসল কীভাবে উৎপাদন করবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। মেহেরপুর কোলা গ্রামের আমচাষি শুভ জানান, তার ৭০০ আমের গাছ রয়েছে। কালবৈশাখি ঝড়ে গাছের ৪০ শতাংশ আম ঝড়ে পড়ছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি। একই গ্রামের আরেক চাষি আমিরুল ইসলাম জানান, গতকালের কালবৈশাখি ঝড়ে অধিকাংশ লিচু ফেটে গেছে। যা ফলন হওয়ার কথা তার অর্ধেক ফলন হবে। এতে যারা লিচু চাষ করেছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ আলী জানান, মাঠ ঘুরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন তারা। কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আগামীকালের মধ্যেই জানা যাবে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়