চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় আব্দুল গাফফার আকাশ (২৫) নামে যুবককে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে ট্রেন আটকে রেখে উথলী ইউনিয়নবাসী ও শোকার্ত পরিবারের ব্যানারে আজ উথলী রেলস্টেশনে দুই ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর কপোতাক্ষ ট্রেন উথলী রেলস্টেশনে পৌঁছালে মানববন্ধনের কারণে ট্রেনটি আটকে পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় একঘণ্টা অপেক্ষার পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। গত ২১ মে কপোতাক্ষ ট্রেনে চুয়াডাঙ্গা থেকে বাড়ি ফেরার পথে জয়রামপুর রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল গাফফার আলী আকাশের মরদেহ। এলাকাবাসীর ধারণা, চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। আকাশ জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় মৃত আকাশের বাবা জিন্নাত আলী বাদী হয়ে গত ২১ মে ওই ট্রেনের বগিতে দায়িত্বে থাকা দুই জন রেলওয়ে পুলিশ, একজন টিটিই এবং দুই জন অ্যাটেনডেন্টকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আকাশ হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবি জানিয়ে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে। মানববন্ধনে উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মহিউদ্দিন, মৃত আকাশের বাবা জিন্নাত আলী বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা আকাশকে পরিকল্পিতভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।

