নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার আরবপুর দিঘীরপাড়া এলাকার একটি কওমি মাদ্রাসায় নয় বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রনির বিরুদ্ধে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার রাশেদ মিয়ার পুত্র।
ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক রাকিবুল ইসলাম রনি পালিয়ে গেছেন। তাঁকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির আরও দুই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে অন্যান্য ছাত্রদের ঘুমানোর সময় ওই শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। পরে মাদ্রাসার সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে সন্দেহজনকভাবে একা ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসা ঘেরাও করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করার চেষ্টা চালায়। তবে তিনি আগেই পালিয়ে যান। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার দুই শিক্ষক—যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের ফয়সাল এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কামাল হোসেন—অভিযুক্ত শিক্ষককে পালাতে সহায়তা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ফয়সাল ও কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, ‘স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।