প্রতিদিনের ডেস্ক॥
লিওনেল মেসির থেকে এমন কিছুই তো চাইবে দল। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ যখন চেপে ধরবে, তখন মুহূর্তেই পাল্টে দেবে সব চিত্র। কয়েকজনকে পাশ কাটিয়ে কিংবা দারুণ এক ফ্রি কিকে বদলে দেবে ম্যাচের গ্রাফ। ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তোর বিপক্ষে ঠিক তেমনটাই করেছেন মেসি। তা নিয়েই চলছে বন্দনা। বাঁকানো শটে ফ্রি কিকে জালে বল জড়িয়েছেন, ইন্টার মিয়ামিকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তবে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটিতে তিনি ফিট ছিলেন না, পায়ের পেশির ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন। মিয়ামি কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানো জানিয়েছেন এমন চমকপ্রদ তথ্য। ডিএজেডএনকে মিয়ামি কোচ বলেছেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্তও তার খেলা নিশ্চিত ছিল না।’পোর্তোর বিপক্ষে মেসি যেভাবে খেলেছেন, কে বলবে ব্যথা অনুভব করছেন! মেসির চোট মানিয়ে খেলার বিষয়টি পছন্দ হয়েছে মিয়ামি কোচ মাশ্চেরানোর, ‘লিও মেসি ইনজুরি নিয়ে খেলছিলেন। পায়ের মাংস পেশির যে চোটের ব্যথা তার আছে সেটি নিয়েই সে কি দারুণ ভাবে মাঠে দৌড়ালেন। অসাধরণ।’ ডিএজেডএনকে মিয়ামি কোচ বলেছেন, ‘ম্যাচ শুরুর আগ পর্যন্তও তার খেলা নিশ্চিত ছিল না।’ অথচ বড় ম্যাচে যাকে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল, তিনিই এনেছেন জয়সূচক গোল। আটলান্টার মার্সিডিস-বেঞ্চ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল পোর্তোই। স্যামু আগেহোয়ার করা এক পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় পর্তুগিজ জায়ান্টরা। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় মিয়ামি। তেলাস্কো সেগোভিয়া সমতায় ফেরান।
এরপর আসে সেই মুহূর্ত, যার জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিল। ৫৪ মিনিটে মেসি ডি-বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন। নিজেই বল সেট করেন, আর তার পরিণতি—একটি নিখুঁত বাঁকানো শট, যা ঢুকে যায় ডান দিকের জালে। ক্লাসিক ‘মেসি মোমেন্ট’। ২০২৩ সালে ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মেসি এখন পর্যন্ত ৬১ ম্যাচে ৫০টি গোল করেছেন। পোর্তোকে হারিয়ে মেসির দলও টিকে আছে। আগের ম্যাচে সৌদি আরবের ক্লাব আল আহলির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে মিয়ামি। মঙ্গলবার তাদের পরের প্রতিপক্ষ পালমেইরাস।