এম এ রহিম, চৌগাছা
যশোরের চৌগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে সরকারি ছুটির মধ্যেই এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে বিদ্যালয় খোলার পর শিক্ষকরা ক্লাসরুমে প্রবেশ করে সিলিংফ্যান, বেঞ্চসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ঘাটতি লক্ষ্য করেন। পরে গুনে দেখা যায় অন্তত ২৫টি বৈদ্যুতিক সিলিংফ্যান, ২৩ জোড়া বেঞ্চ ও মূল্যবান আসবাবপত্র চুরি হয়ে গেছে। রহস্যজনক বিষয় হচ্ছে, স্কুলের কোনো দরজা-জানালার তালা কিংবা লক ভাঙার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। চোরের দল অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে কোনো প্রকার ভাঙচুর ছাড়াই বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। কিভাবে এতো মালামাল দিনের আলোয় কিংবা রাতে সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে নিয়ে গেল চোরেরা সেটি নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্যের জট। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, এ চুরির পেছনে হয়তো কোনো ভেতরের লোকের মদত রয়েছে। কেউ কেউ আবার এটিকে সংঘবদ্ধ চোর চক্র বা পরিকল্পিত সিন্ডিকেটের কাজ বলে সন্দেহ করছেন। এদিকে, বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী সাজেদুর রহমান রকির কাছে চাবি থাকায় তার নাম উঠে আসছে সন্দেহভাজন হিসেবে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, এর আগেও তিনি এক শিক্ষিকার মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে জেল খেটেছে। যদিও পরবর্তীতে যিনি অভিযোগ করেছিলেন, তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কোন তালা ভাঙচুর ছাড়াই কি করে মালামাল চুরি হলো, তা আমাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। পাশাপাশি থানা পুলিশকে বিষয়টিঅবহিত করা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।

