১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ২রা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

কালীগঞ্জে ফাস্ট ক্লাস পৌরসভায় থার্ড ক্লাস সেবা পাচ্ছে পৌরবাসী

সোহেল আহমেদ, কালিগঞ্জ
খুলনা বিভাগের মধ্যে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভাটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনসাধারণের কাছ থেকে প্রতিবছর ট্যাক্স আদায়ের সফলতা দেখিয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে দ্রুত প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত হয়। প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা পৌর ট্যাক্স আদায় হয় । তাছাড়া জমি রেজিস্ট্রেসন ফি, ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ফি, হাট বাজার ইজারা, জন্ম নিবন্ধন ফি সহ বহু খাত থেকে আয় হয় আরো ১৫/২০ কোটি টাকা। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কোটি কোটি টাকা এই পৌরসভায় বরাদ্দ দেয়। কালিগঞ্জ পৌরসভাটি মাথা ভারী হলেও তাদের বেতন ভাতা প্রতিবছর আড়াই কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ প্রতিবছর প্রচুর স্থানীয় ইনকাম ও সরকারি বরাদ্দের আনুমানিক প্রায় ৫০ কোটি টাকা পৌরসভা কোথায় খরচ করে, তা জনগণ এখনো পর্যন্ত তার হদিস খুঁজে পায়নি ।

তবে একটা কথা প্রচলন আছে মেয়র কাউন্সিলররা সব খেয়ে নেয়। সামান্য বৃষ্টি হলে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র বাজারের রাস্তায় এক হাঁটু পানি জমে যায়। রাস্তা গুলি খানা গর্তে ভরা। অপরিকল্পিত ড্রেনে পানি ঠিকঠাক মত নিষ্কাশন হয় না। পুরাতন বাজারে অবস্থা খুবই করুন মাছের বাজারে এক হাঁটু ময়লা বিষাক্ত পচা গন্ধ পানি কাদার মধ্যে জনসাধারণদের কেনাবেচা করতে হয়। রাস্তার দু’ধারে বিল্ডিং এর মালিকরা রাস্তা দখল করে অট্টালিকা তৈরি করেছে । এই ছোট রাস্তার দুই ধারে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ফুটপাতে দোকান বসিয়েছে। যার কারনে প্রায় সব সময় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা ঘাটের অবস্থা খুবই করুন। অনেক রাস্তা চলাচলে অযোগ্য হয়ে গেছে।বিশেষ করে ফয়লা তিন নম্বর ওয়ার্ড মাস্টারপাড়া, গোরস্থান পাড়া ও কলেজ পাড়ার মানুষদের পানিবন্দি অবস্থায় তাদের জীবন যাপন করতে হয়। বাজারে আলোর ব্যবস্থা থাকলেও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওলিতে গলিতে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকারের চুরি ডাকাতি ছিনতাই সহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এদিকে ঝোব বুঝে কোপ মেরেছে পৌর কর্মচারীরা। মেয়রদের সময় বকেয়া বেতন, ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক কোটি টাকা আদায় করে নিয়েছে পৌর প্রশাসকের কাছ থেকে কর্মচারী। পৌরবাসীরা প্রতিবছর হাজার হাজার টাকার ট্যাক্স দিয়েও তারা তেমন কোন পৌর সুবিধা পাচ্ছে না। অনেকেই ক্ষোভের সাথে জানিয়েছে পৌরসভা হয়ে জনগণের কোন লাভ হয়নি। পক্ষান্তরে ক্ষতি হয়েছে। উচ্চ রেটে জমির খাজনা, পৌর ট্যাক্স সহ বিভিন্ন অর্থ এই পৌরসভায় দিতে হয়। ইউনিয়নের আওতায় থাকায় ভালো ছিল।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়