অলোক আচার্য
নিঃশব্দের বিপরীতে
তুমি কীভাবে নীরব থাকো? শিখিয়ে দিও!
শত বছরের নিস্পলক মোনালিসা
হেসে যায় শব্দহীন। এক নির্বাক পোট্রেট তুমি
শিখিয়ে দিও, কীভাবে নীরব থাকো!
শপিংমলের চলন্ত সিঁড়িতে—বিপরীত দিকে আমরা
কতবার ভেবেছি এবার ভাঙবে নীরবতা!
ডায়েরির পাতায় কিছু শব্দ তবু লেখা যায়—
করিডোর ধরে চলে যাও সোজা। কোথায়?
নিঝুম দুপুরের মতো নিঃশব্দ!
তুমি কীভাবে নীরব থাকো? শিখিয়ে দিও!
****
বিলবোর্ড
ঝুলে আছি
শতাব্দী প্রাচীন বৃক্ষের বুকে
শরীরজুড়ে অসংখ্য কাঁটাতারের ক্ষত
বুকে ধরে আছি এ শহরের
রঙিন সন্ধ্যার বিজ্ঞাপন!
তুমি নেই—কেউ নেই—পায়ে হাঁটা পথের শেষ
গ্লাসে অষ্টপ্রহর প্রেম জমে সাদা বরফের টুকরো!
আমি ঝুলে থাকি শহরের বিলবোর্ডে!
****
তারও অনেক পরে
তুমি হাত বাড়াতেই বসন্ত নামে—
বালিয়াড়ী মেঘ, রোদে পোড়া লাল
লিপস্টিকের মতো কৃষ্ণচূড়া
অরুণিমার আঁচলে তখন চৈত্রের জল ঝরে
ভিজে তৃষ্ণার্ত ঠোঁট!
বুঝেছিল অরুণিমা, আমি জেগে নেই
পিঁপড়ার মতো নিঃশব্দে ঝুলে আছি
আঁধারের কাঁধে। অরুণিমার সাথে আরও একবার
দেখা হয়েছিল—তারও অনেক, অনেক পরে!