৪ঠা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ১৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

মুরাদনগরের ঘটনা এবং আবার ভিকটিম ব্লেইমিং

শাহানা হুদা রঞ্জনা
মুরাদনগরের সেই ভিডিওটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ভিকটিম ব্লেইমিং। কিছু মানুষ ও মিডিয়া অলরেডি নেমে গেছে ‘প্রবাসীর স্ত্রী’র পরকীয়ার সন্ধানে। তারা এটাই বলতে চাইছে, যেহেতু এটা পরকীয়ার ঘটনা, তাই এই নারীর অপদস্থ হওয়াটা স্বাভাবিক, তাকে ধর্ষণ করা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াটাও স্বাভাবিক।চোখের সামনে এক নারীর চরম অসম্মান হচ্ছে, আর চারপাশে মানুষজন দাঁড়িয়ে আছে সেই বীভৎসতা দেখার জন্য। কেউ ভিডিও করছে, কেউ চিৎকার করছে কিন্তু নারীকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসছে না। ওখানে যে পুরুষরা দাঁড়িয়ে এই বীভৎসতা উপভোগ করছিল, তারা সবাই একধরনের ধর্ষক ও পারভার্ট। যারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছে, তারাও তাই। এরা নারীকে নারী হিসেবে না দেখে, দেখেছেন শরীর হিসেবে।
অনলাইন পোর্টাল ‘স্ট্রিম’র এক তথ্যে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ভিডিও করা হয় জোরপূর্বক ও সম্মতিহীনভাবে, যা একটি অপরাধমূলক কার্যকলাপের দলিল। তাই এটি দমন করার জন্য অন্যধরনের আইনি হস্তক্ষেপ দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ধর্ষণের ভিডিও প্রচারের দায়ে বিচারের নজির কম। অনলাইনে বাড়ছে হয়রানির কন্টেন্ট।
গত কয়েক বছরে ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ২২টি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে, কিন্তু ভিডিও ছড়ানোকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা খুব কমই নেওয়া হয়েছে। আইনজীবী মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের মতে, এসব অপরাধের বিচার হয় মূলত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, যেখানে ভিডিও ছড়ানোর অপরাধ স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়।
এদিকে ধর্ষণ বাংলাদেশে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে উঠছে। এর চাইতেও ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে ধর্ষণকে জায়েজ করার জন্য ভিকটিমকে দায়ী করার প্রবণতা বাড়ছে। ভিকটিমকে দায়ী করতে পারলে ধর্ষকের অপরাধ কমে আসে। মেয়েটি একা বের হলো কেন, নারী রাতে বের হবে কেন, কেন শার্ট-প্যান্ট পরে ঘুরবে? কেন লঞ্চে বসে আনন্দ করবে? ভিকটিম যে বয়সেরই হোক না কেন, তার ওপর দায় চাপাতে একবারও ভাবে না মানুষ। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির ট্রমা, ক্ষতি, লজ্জা ইত্যাদি নিয়ে না ভেবে, কীভাবে এ খবরটা বাজারজাত করা যায়, সেটা ভাবে।
একজন নারীকে যখন নিপীড়ন করা হয়, তখন সে বিচার চাইতে গেলে, তাকে আবার চেপে ধরা হয়। তার প্রতি যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, সবকিছুর জন্য তাকে আবার দোষারোপ করা হয়। বিচারের নামে আরও বেশি নিপীড়ন করা হয়। নানান বিতর্ক শেষে, আবার নারীর চরিত্র নিয়েই কথা হয়, আর বাকিরা সবাই পার পেয়ে যায়! মুরাদনগরের ঘটনাটি এর প্রমাণ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ বলছে, প্রকৃত অর্থেই ওই নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরপরও সামাজিকভাবে তাকে হেয় করা হচ্ছে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ মেয়েটি এখন মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলছে। এমনকি কাউকে দোষও দিতে চাইছে না। ভুক্তভোগী নারী বলেছেন, ‘ফজর আলীকে আসামি করে করা মামলা তিনি তুলে ফেলবেন। তাকে এই মামলা তোলার জন্য কেউ কোনো ধরনের চাপ প্রয়োগ করেননি। তিনি ফজর আলীর বিচার চান না, তিনি চান দেশে শান্তি থাকুক’। মামলা কেন তুলতে চাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জাবলেন, ‘তার স্বামী বলছেন মানসম্মান যা যাওয়ার তা গেছে। মামলা করলে তো তা আর পাওয়া যাবে না। তাই নিজ ইচ্ছায় তিনি মামলা তুলে ফেলবেন।’
গত মে মাসে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একজন বিধবা নারীকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ভয়াবহ ঘটনার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর কমেন্ট সেকশনে কেউ কেউ বলছে পরকীয়া নয়তো? বিধবা নারীর হয়তো অন্য কারও সাথে সম্পর্ক ছিল ইত্যাদি ধরনের অশ্লীল ইঙ্গিত।
ধর্ষণের শিকার বা যৌন হয়রানির শিকার একজন মেয়ে যে কতটা ভয়াবহ বর্বরতার মুখোমুখি হয়, সেটা নিয়ে কেউ ভাবে না। একদল মানুষ নারীকে ধর্ষণ করে, আরেকদল আমাদের সমাজবোধ, নৈতিকতা, মানবিকতাকে ধর্ষণ করে। এরা ধর্ষণকে বিক্রি করে। দায়ী করে হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে।
একবারও ভেবে দেখে না যে ধর্ষণের ভিডিও আমি কেন করছি? কেন ধর্ষককে বাধা দিচ্ছি না? কেন মেয়েটির বিবস্ত্র শরীর মুঠোফোনে বন্দি করছি? এর উদ্দেশ্য কী? প্রতিবাদ নাকি মেয়েটিকে আরও নগ্ন দেখানোর চেষ্টা? মেয়েটির পরিবার, সন্তান, পাড়া প্রতিবেশী, স্বজন, বন্ধু আছেন। তারা কীভাবে বিষয়টিকে গ্রহণ করবেন?
ভিকটিম ব্লেইমিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনো অপরাধ বা অন্যায়ের শিকার ব্যক্তিকে তার নিজের দুর্ভাগ্য বা ক্ষতির জন্য দায়ী করা হয়। এটি করতে গিয়ে ভিকটিমের আচরণ, পোশাক বা সিদ্ধান্তকে অপরাধের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যা অপরাধীর দায়মুক্তি ঘটায়।
এর পেছনে কাজ করে স্টেরিওটাইপ ধারণা বা সামাজিক কুসংস্কার। এক্ষেত্রে মানুষ মনে করে ভিকটিম বা আক্রান্ত ব্যক্তি নিশ্চয়ই নেতিবাচক কিছু করেছেন। বিশেষ করে নারী যদি ভিকটিম হন, তাহলে তো দোষের শেষ নাই। কোনো মেয়ে যদি নিহতও হয়, তাও তার দোষমুক্তি ঘটে না। কারণ বাংলাদেশে নারীর প্রতি ব্লেইমিং একটি বড়ধরনের সামাজিক সমস্যা। এটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক প্রথা এবং জেন্ডার বৈষম্য থেকে উদ্ভূত। এই প্রক্রিয়ায় অপরাধের শিকার নারীকে তার প্রতি সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী করা হয়, কলঙ্ক আরোপ করা হয়, মাঝেমাঝে এক ঘরেও করা হয়।
যৌন সহিংসতা বা ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পোশাক বা চলাফেরার ধরন নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়, তার মাধ্যমে সমাজ বোঝাতে চায় যে, নারীর পোশাক বা বাইরে বের হওয়ার জন্য সময় বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তই এই অপরাধের জন্য দায়ী। পর্দানশীন পোশাক পরা নারী বা মাদরাসার ছাত্রী যখন ধর্ষণের শিকার হয়, তখনও এই প্রশ্নগুলো অন্যভাবে উঠে আসে।
ঘটনার পর চট করে ভিকটিমের কাঁধে দায় চাপানোর একটি সাধারণ রূপ হলো ভুক্তভোগী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা। যেমনটা করা হয়েছে মুরাদনগরের নারীর প্রশ্নে। বলা হয়েছে প্রেম ছিল ফজর আলীর সাথে, বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে এসব করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে উদ্দেশ্য দুটি মেয়েটির জীবনকে অভিশপ্ত করা, অন্যদিকে দোষীর দোষ কমানো।
যদি নরীর প্রতি এই অভিযোগগুলো সত্য বলে ধরেও নেই, তাহলে মেয়ে ও ছেলেশিশু কেন ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে? চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৩৮৩ জন শিশু ও নারী কেন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন? এরমধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৯৭ জন। (সূত্র: আইন ও সালিশ কেন্দ্র) প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। এগুলো কেস হয়েছে এবং পত্রিকায় এসেছে।
প্রকৃতপক্ষে সমাজ নারীর আচরণ, তার সামাজিক মেলামেশা, বা ব্যক্তিগত জীবনযাত্রাকে অপরাধের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে। সমাজের ধারণা যে নারীদেরই নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে এবং তারা যদি ‘সঠিকভাবে’ চলাফেরা না করে তবে অপরাধের জন্য তারাই দায়ী।
সমাজের এই দৃষ্টিভঙ্গি বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে। তাই সেখানে নারীকে অতিরিক্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে ধর্ষণের মামলায় প্রায়ই নারীর জবানবন্দি, ব্যক্তিগত জীবন বা তার আগের আচরণ নিয়ে অযৌক্তিক প্রশ্ন করা হয়। এ ধরনের দোষারোপের কারণে অনেক নারী ভয়ে অভিযোগ করতে দ্বিধা করে, যা অপরাধীদের আরও নির্ভয় করে তোলে।
মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রায়ই ভিকটিম নারীর জীবনযাত্রা বা পোশাকের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হয়, যা ভিকটিম ব্লেইমিংকে উৎসাহিত করে। এছাড়া আছে কিছু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রথা, যা নারীর ওপর অতিরিক্ত নৈতিক বিধিনিষেধ আরোপ করে। এই প্রথাগুলো নারীকে ‘শুদ্ধ’ বা ‘নৈতিক’ হওয়ার ওপর জোর দেয়। সমাজ ও বিচারব্যবস্থা ভুক্তভোগীর দোষত্রুটির দিকে অতিরিক্ত দৃষ্টি দেয় বলে, অপরাধীর দায় ঢাকা পড়ে যায়।
ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনায় ভিকটিম ব্লেইমিংয়ের বড় উদাহরণ নরসিংদীর ট্রেন স্টেশনে নারী হেনস্তা। ২০২২ সালে একজন তরুণী ও তার বন্ধু স্থানীয় একদল মানুষের তীব্র রোষের মুখোমুখি হন। তাদের এই রোষের কারণ ছিল তরুণীটির পরনের পোশাক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো স্টেশনে ভোরবেলা গিয়ে মেয়েটি এক নারীর তীব্র বাক্যবানের মুখে পড়েন। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষার সময় আরেকজন নারী ওই তরুণীকে এ ধরনের পোশাক কেন পরেছে জিজ্ঞেস করেন। সেই নারী উত্তেজিত হয়ে মেয়েটিকে গালাগালি, কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করলে অন্যরা এসে যোগ দিয়েছিল।
তরুণীটি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারলাম না, উনি আসলেন, তারপর ইচ্ছেমতো গালিগালাজ শুরু করলেন। আমি তাকিয়ে আছি আর বারবার জিজ্ঞাসা করছি, আন্টি আপনি কেন আমার সাথে এরকম করতেছেন। নরমালভাবে কথা বলেন। একপর্যায়ে তিনি আমার বাবা-মা, আমার পরিবারকে নিয়ে ইচ্ছেমতো গালিগালাজ করতে শুরু করেন। বলেন, আমার ফ্যামিলি আমাকে শাসন করে না, এই জন্যেই এই অবস্থা হচ্ছে।’ এ বিষয়ের ওপর একটা গবেষণা বলছে আমাদের দেশে ইন্টার্নালাইজড মিসজিনি বাড়ছে। পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর ভিত্তি করে নারী নারীর বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে।
২০২২ সালে করা ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজ বিস্তার এবং নারীর প্রতি সহিংসতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, শতকরা ৭৪ জন উত্তরদাতা মনে করেন, ‘মন্দ’ মেয়েরা, ‘মন্দ’ ছেলেদের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক। আর সমাজে ‘ভালো’ ও ‘মন্দ’ এই দুই ধরনের মেয়ে আছেন, এমনটা বিশ্বাস করেন শতকরা ৭৯ জন উত্তরদাতা।
গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মন্দ মেয়ের মতো আচরণ সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত। কারণ মন্দ মেয়ে অন্য ছেলেমেয়েদের নষ্ট করে ফেলতে পারে বলে মনে করেন শতকরা ৭৯ জন উত্তরদাতা। উত্তরদাতাদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়ই আছেন। তাই যারা মন্দ মেয়ের মতো আচরণ করেন, তাদের সঠিক পথে আনার জন্য তাদের হেয় করা, মন্দ কথা বলা ও অপমানজনক আচরণ করা, সমাজের জন্য মঙ্গলকর বলে মনে করেন শতকরা ৪৪ জন উত্তরদাতা।
পোশাক বা আচরণ দেখে মুহূর্তে কোনো মেয়েকে ‘মন্দ মেয়ে’ বলে মনে হলে তাদের ওপর আক্রমণের মানসিকতা বেড়ে যাচ্ছে। কারণ নারীর ওপর এই আক্রমণ করাটাকে মানুষ যৌক্তিক বলে মনে করছেন। এই বিচার নারীও করেন, পুরুষও করেন। মূলত ক্ষমতাবান পুরুষ যেভাবে বিচার করেন বা যে চোখে নারীকে দেখেন, নারীও সেভাবেই নারীকে দেখে। পুরুষ যাকে মন্দ নারী মনে করে, নারীও তাকেই মন্দ নারী মনে করে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক গ্রুপ- ইউএনএফপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ নারী জীবনের কোনো না কোনো সময় শারীরিক, যৌন নির্যাতনসহ নানান ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে যে ধরনের ফোন আসে, সেই তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, নারীর প্রতি হয়রানি, নিপীড়ন, আর সহিংসতার অভিযোগ জানাতে বা সাহায্য চেয়ে ফোন কলের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত গত কয়েকদিনের সংবাদ পর্যালোচনা করে ডয়চে ভেলে দেখেছে যে শিশু, গর্ভবতী নারী, বিশেষভাবে সক্ষম নারী, কেউই রেহাই পাননি যৌন নির্যাতন থেকে। অথচ অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ধর্ষণের ঘটনার এক-তৃতীয়াংশেরই মামলা হয় না।
আমরা জানি আদালত একা ন্যায়বিচার দিতে পারেন না, কারণ মামলা দায়ের, তদন্ত পরিচালনা এবং সাক্ষী উপস্থাপনের ৯৯ শতাংশ প্রক্রিয়াই রাষ্ট্র পরিচালিত। ত্রুটিপূর্ণ এই ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার অভাব ভুক্তভোগীদের মামলা এবং অভিযোগ দিতে নিরুৎসাহিত করে, যা শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার দিতে আদালতের ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ন করে। তবে এক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সমাজের অনেক মানুষ ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা বিশ্বাস করে না। এর পাশাপাশি ভিকটিমকে দায়ী করার প্রবণতাও খুব জোরালো, যা পুরো মামলা প্রক্রিয়াকেই দুর্বল করে দেয়।
লেখক : যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়