নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের আরবপুর দিঘীরপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় নয় বছরের এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম রনিকে (২২) অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মনোহরগ্রাম এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক রনি ময়মনসিংহ জেলার মনোহরগ্রামের রাশেদ মিয়ার ছেলে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুবা শারমিন তার জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুন দুপুর ১১টার দিকে মাদ্রাসার নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত রুমে থাকা ১৬ ছাত্র ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ওই সময় রনি জেগে থাকে এবং বাইরে থেকে এসে এক ঘুমন্ত ছাত্রকে বলাৎকার করে। পরবর্তীতে সে রুম থেকে বের হয়ে যায়। এ দৃশ্য ধরা পড়ে রুমে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরায়। পাশবিক এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ও ছাত্ররা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং মাদ্রাসা ঘেরাও করে। অভিযোগ রয়েছে, তখন রনিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে মাদ্রাসার দুই শিক্ষক কৌশলে তাকে হেফাজতে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পরে ওই দুই শিক্ষক, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে ফয়সাল এবং ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার পূর্বঘাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে কামাল হোসেনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পায়েল কুণ্ডু জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রনির অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। ত্রিশালের মনোহরগ্রামে তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।