প্রতিদিনের ডেস্ক
মায়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা শনিবার তাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নির্ধারিত নির্বাচনের আগে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীগুলো তাৎক্ষণিকভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে। মায়ানমারে ২০২১ সালে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই চাপের মুখে রয়েছে। জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) বিরুদ্ধে জান্তা যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ধরনের পরাজয়ের মুখোমুখি হওয়ার পর এই অপ্রত্যাশিত আবেদনটি এলো। জান্তা সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমারে প্রকাশিত সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো আইনের কাঠামোর মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে ও সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী হয়, তাহলে সরকার এটিকে স্বাগত জানিয়ে গ্রহণ করবে। অন্যদিকে অভ্যুত্থান প্রতিহত করার জন্য কাজ করা বহিষ্কৃত আইন প্রণেতাদের অস্থায়ী সরকার দ্য ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বলেছে, প্রতারণায় ভরা জান্তার এই ঘোষণা মূলত তাদের প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া এবং বিরোধীদের বিভক্ত ও দুর্বল করার চেষ্টা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এর পরই মায়ানমারজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে, যা নৃশংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়তে বেসামরিক নাগরিকরা পিডিএফ গঠন করে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন থেকে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকা জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়। এতে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এদিকে গত মাসে মায়ানমারের জান্তাপ্রধান জানায়, তারা ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এটিকে প্রহসন বলে নিন্দা জানিয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে জাতিগত সংখ্যালঘু সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বড় ধরনের আক্রমণের পর জান্তা সরকার যুদ্ধ থামানো ও শান্তি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছিল।