মাজাহারুল ইসলাম মিথুন, পাইকগাছা
খুলনার পাইকগাছায় ৮০ বছরের দখলী শরিক সম্পত্তি জবর- দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের শালিস না মেনে প্রতিপক্ষ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে আদালতে মামলা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সংক্রান্তে যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার দেলুটী ইউনিয়নের সৈয়দখালী মৌজায় ১৬ মে ১৯৪৫ সালে ১৩৭৬ নং দলিল মুলে মৃত আলী আকবার শেখ ও মৃত ইসমাইল শেখ যৌথ মালিকানায় এস এ ৮৬ খতিয়ানের ৪২৯ দাগে ১ একর ৫৪ শতক জমি মৃত কাশেম শেখের নিকট থেকে ক্রয় করেন। সেখান থেকে অধ্যবধী উভয় পরিবার ঘর বাড়ি তৈরি করে গাছ গাছালী রোপন করে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২২১/৬৭-৬৮ নং এল এ কেসে উক্ত ৪২৯ দাগের ১ একর ৫৪ শতক জমির মধ্যে ১ একর ১০ শতক জমি অধিগ্রহণ করেন। বক্রি ৬৪ শতক জমি উভয়ের ওয়ারেশগণ ভোগ দখল করে আসছে। এ দিকে আলী আকবারের ওয়ারেশরা সেটেলমেন্ট জরিপ চলাকালীন সময়ে ইসমাইলের ওয়ারেশদের উপেক্ষা করে কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে নিজেদের নামে একতরফা ভাবে রেকর্ড করে নেয়। যা ইসমাইলের ওয়ারেশদের সাথে প্রতারনা ও বিশ্বাসঘাতকতার সামিল। তারা একদিকে অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির টাকা উত্তলন করেছেন। অপরদিকে বক্রি সমুদয় সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগ দখল করার পায়তারা করছে। জবর দখলের পাঁয়তারার খবর জানতে পেরে ৮ এপ্রিল ২৫ তারিখ মৃত ইসমাইল শেখের পুত্র আবু তালেব ও ওমর আলী শেখের পক্ষে ফজলুর রহমানের পুত্র নওয়াজ আলী শেখ বাদী হয়ে লিয়াকত শেখ, মুর্শিদুল শেখ ও আল-আমীন শেখকে বিবাদী করে ইউনিয়ন পরিষদে শালিসি মামলা করে। পরিষদ অভিযোগ পেয়ে গত ৪ জুন ২৫ তারিখে বিচারের দিন ধার্য্য করে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে। বিচারের দিন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে ১৫/৬/২৫ তারিখ শালিসের রায় প্রদান করেন। অন্যদিকে গত ১লা জুন আকবার গং ইসমাইল গংদের দখলী সম্পত্তি দখল করতে যেয়ে পুকুরের মাছ,গাছের নারকেল লুটপাট করে। এক সপ্তাহ পর আবার জোরপূর্বক ঘেরের মাছ লুটপাট করে ঘর তৈরি করে। এবিষয়ে দেলুটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সুকুমার কবিরাজ জানান, পরিষদে অভিযোগের কাগজপত্র দেখে শালিস করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষ আমাকে জড়িয়ে আদালতে মামলা করেছে। যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পাইকগাছা থানার এস আই আনিস জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ বসবাস করতে নির্দেশনা দিয়েছি। বৃহস্পতিবার সকল কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি।

