১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ  । ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ 

পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি, আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কা

প্রতিদিনের ডেস্ক
এমনিতেই টানা চারদিনের বৃষ্টিপাতে বন্যার আশঙ্কায় রয়েছে পুরো পশ্চিমবঙ্গ। তার মধ্যেই ৮৬ হাজার কিউসেক পানি ছেড়েছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন (ডিভিসি)। এর জেরে পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল মহকুমা ও দক্ষিণবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে।ডিভিসির ছাড়া পানি ও লাগাতার বৃষ্টিতে এরই মধ্যে কংসাবতী, শিলাবতি, রূপনারায়ণের মতো নদী গুলো ফুঁসছে। নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁয়েছে।
জানা গেছে, ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ডের বিঘার পর বিঘা জমি পানির তলায়। নতুন করে বেশ কয়েকটি এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। চন্দ্রকোনা-১ চন্দ্রকোনা-২ ব্লক ও ঘাটাল ব্লকের কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এর জেরে কন্ট্রোলরুম খুলেছে স্থানীয় প্রশাসন, জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। ঘাটালের মহারাজাপুর এলাকায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।যেসব গ্রামে এরই মধ্যে পানি ঢুকেছে, সেসব গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে আনা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে কোনো অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় সেই ব্যবস্থা করেছে রাজ্য প্রশাসন।
ঘাটালের বাসিন্দা সুমন পোদ্দার বলেন, আমার দোকান পানিতে পুরো ডুবে গেছে। আমরা অন্য একজনের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। আমার ঘরবাড়ি বলতে আর কিছু নেই। খুব অসুবিধার মধ্যে রয়েছি। এখানে পান করার পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। সবজি আনর মতো পরিস্থিতি নেই। কী হবে বুঝতে পারছি না।
বন্যাকবলিত এলাকার বাসিন্দা আয়েশা বিবি বলেন, এই বন্যায় কোনোরকম সরকারি সাহায্য আমরা পাইনি। গরু রাখার জায়গাটুকুও নেই। ত্রিপলের জন্য গিয়েছিলাম, কিন্তু সেটাও পাইনি।বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে ঘাটাল গেছেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। সেখানে মহকুমা শাসক, প্রধান প্রকৌশলীসহ জেলা কৃষি কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মানস ভূঁইয়া বলেন, আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছি ও তাতে একটুও ফাঁক রাখার উপায় নেই। তবে জুন-জুলাই মাসে এত বৃষ্টি আমি দেখিনি। নদীগুলো ফুঁসছে। অন্যদিকে, ডিভিসির লাগামছাড়া পানি ঢুকেছে।

আরো দেখুন

Advertisment

জনপ্রিয়